নাশকতার মামলা: অর্ধ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী কারাগারে
১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ২৩:৪০
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিভিন্ন নাশকতার মামলায় বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মীকে কারাগারে এবং ২০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) বিভিন্ন আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
রাজধানীর ২৪টি থানা পুলিশ গত (১১ ডিসেম্বর) বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করে তাদের আদালতে হাজির করেন। যাদের মধ্যে অর্ধ শতাধিক আসামির রিমান্ড আবেদন এবং অপর আসামিদের কারাগারে পাঠানো আবেদন করে আদালতে হাজির করা হয়।
রাজধানীর ২৪টি থানার নাশকতার মামলায় কারাগারে যাওয়ায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শাহাবাগ থানার নুরুল ইসলাম, ইসমাইল খন্দকার, ধানমন্ডি থানার মনিরুল জামান মনি ও এস এম রাজ্জাক, বংশাল থানার আরিফুল ইসলাম নাদিম ও জাহিদ হাসান, যাত্রবাড়ী থানার মাসুদ রানা, তুহিন ও জাফর আহমেদ, পল্টন থানার দুই মামলায় মো. ফিরোজ, মো. রমজান, সৈয়দ আল মামুন, মো. মাসুম বিল্লাহ, শরিফুল ইসলাম ও রিয়াজ মুন্সি সুমন, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্ডল, শরফুদ্দিন খান মুন্না, ইসমাইল মোল্লাহ ও মিজানুর রহমান ভূইয়া, শাহজানারপুর থানার আনিসুর রহমান সোহেল, রমনা থানার হানিফ উদ্দিন আহমেদ হিমু, বিমানবন্দর থানার শাকিল হাসান, উত্তরা দক্ষিন থানার কাজী মাহবুব হাসান ও রফিকুল হাসান, তুরাগ থানার আবু জায়েদ, মো. রবিউল ইসলাম ও মো. শাহিদ, উত্তর পশ্চিম থানা আব্দুল মান্না জুয়েল, কামরাঙ্গিচর থানার শাহাবুদ্দিন, মোজাম্মেল ,হিরা, গাফ্ফর, লালবাগ থানার মনিরুজ্জামান মনির, কদমতলী থানার শহিদুজ্জামান, বনানী থানার উসমান গনি খোকন ও হুমাউন কবীর, বাড্ডা থানার মাসুম গাজী ও জাহিদুর ইসলাম জাকির, মিরপুর থানার আব্দুল মতিন, মির্জা হেদায়েত উল্লাহ, গাজী ফেরদোস ও দায়েম হোসেন, শেরেবাংলা নগরথানার দলিলুর রহমান দুলাল, ইলিয়াস হোসেন ও কামরুল ইসলাম ও তেজগাঁও থানার জাকির হোসেন পলাশ।
এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানার ২ জন, আদাবর থানার ২ জন, হাতিরঝিল থানার ৪ জন ও দারুল সালাম থানার ২২ জন আসামি ছিলেন।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে দুলুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর শের-ই বাংলানগর থানার চার্জশিট দাখিল হওয়া একটি নাশকতার মামলায় আসামিকে বিকেলে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। মামলাটিতে আগে থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।
মামলায় দুলুর পক্ষের আইনজীবী ইকবাল হোসেন এবং তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জামিনের আবেদন করেন।
দুলুকে মামলা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দায়ের করা হয়। মামলায় একই বছর ২৪ জানুয়ারি শের-ই বাংলানগর থানাধীন শিশু পল্লির সামনের রাস্তার ওপর বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারের ১৬ জনের নাম ছিল। সেখানে দুলুর নাম ছিল না। তবে এজাহার গর্ভে তার নাম ছিল। মামলাটি তদন্তের পর প্রথম দফায় ২০১৬ সালের ১ আগস্ট বিস্ফোরক ও দণ্ডবিধি আইনের পৃথক দুটি চার্জশিট আদালতে ২৯ জনের বিরুদ্ধে দাখিল হয়।
এরপরে মামলাটিতে একই বছর ৩১ ডিসেম্বর দুইটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল হয়। উভয় চার্জশিটে দুলুর নাম ছিল। মামলায় চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর দুলু হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন গ্রহণ করেন। পরে হ্ইাকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় গত ২৩ জুলাই সিএমএম আদালত তার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
সারাবাংলা/এআই/এমআই