ফোরজি লাইসেন্স কার্যক্রম চলতে বাধা নেই
১১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৬:৩৯
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : দেশে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট (ফোরজি) সেবার লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের জন্য দেওয়া টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ফলে ফোরজি নিয়ে বিটিআরসির কার্যক্রম চলতে বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের আদেশ আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বিটিআরসি আবেদন করলে চেম্বার আদালত ফের এ আদেশ দেন।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অন্যদিকে বাংলালায়নের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।
ফোরজি সংক্রান্ত বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি ২০০৮ সালের ব্রডব্যান্ড গাইডলাইন্সের সঙ্গে সাংঘর্ষিক- এমন যুক্তি দিয়ে বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হয়।
আদালত সেটির শুনানি নিয়ে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করার পাশাপাশি ২০০৮ সালের নীতিমালাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
হাইকোর্টে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, সঙ্গে ছিলেন রমজান আলী শিকদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
গত বছরের ০৪ ডিসেম্বর বিশেষ কমিশন সভায় দুই গাইডলাইন প্রকাশ ও আবেদন আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। ওইদিন বিটিআরসির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফোরজি বিস্তৃত করার জন্য অপারেটরদের আবেদন ফি দিতে হবে পাঁচ লাখ টাকা। লাইসেন্স পেতে দিতে হবে ১০ কোটি টাকা। আর বার্ষিক নবায়ন ফি হবে ৫ কোটি টাকা।
এ লাইসেন্স নিতে অপারেটরদের ১৫০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টিও দিতে হবে। রেভিনিউ শেয়ারিংয়ে সরকারকে দিতে হবে আয়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
অপারেটরগুলোকে ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দ পেতে অংশ নিতে হবে নিলামে। নীতিমালায় এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ নিলামের ভিত্তিমূল্য ঠিক করা হয়েছে প্রতি মেগাহার্টজে ৩০ মিলিয়ন ডলার। আর থ্রি জির দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ২৭ মিলিয়ন ডলার এবং ৯০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ৩০ মিলিয়ন ডলার ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো। ফলে বিষয়টির সুরাহা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/একে