রংপুর বিভাগের আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৩২
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
দিনাজপুর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি সংসদীয় আসনে চার হাজার ২৯৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রংপুর ডিআইজি অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে এলে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ওঠানামা করতে পারে। এর মধ্যে- রংপুরে ৮৪৪টি, দিনাজপুরে ৭৯০টি, গাইবান্ধায় ৬০৫টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৪০০টি, নীলফামারীতে ৫১৮টি, কুড়িগ্রামে ৬৯৬টি, লালমনিরহাটে ৩৭১টি ও পঞ্চগড়ে ২৮৫টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানান, রংপুর বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনী নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে থাকবে মোবাইল টিম। ইতিমধ্যে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলোতে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে।
অন্যদিকে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে বিভাগের ২১৫ জন প্রার্থী তাদের নির্বাচনি এলাকার মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ১৪৩ জন ভোটার ৪ হাজার ২৯৬টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৬ জন ও নারী ভোটার ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৫৭৭ জন। এই বিভাগে পুরুষের চেয়ে ৫৮ হাজার নারী ভোটার বেশি রয়েছে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহতাবউদ্দিন জানান, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করি রংপুর বিভাগে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে বিভাগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ যে, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৩৩টি সংসদীয় আসনে ২১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন দলের ব্যানারে ২০৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১২ জন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
সারাবাংলা/এমএইচআর/এসএমএন