জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণে প্রচেষ্টা থাকবে: ড. কামাল
১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:৪৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ক্ষমতায় গেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সচেষ্ট থাকবে বলে জানিয়েছেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) হোটেল পূর্বাণীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. কামাল বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে জনগণের মতামতকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকবে। বাংলাদেশ হবে গুম, খুন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত শান্তি-সুখের বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে ৩৫ অঙ্গীকার
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হবে কী না— সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের নানারকম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদেরকে শঙ্কিত করেছে।’
কামাল বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয়েছিল, সেটা সংবিধানে প্রণীত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়েছে। জনগণ যখন রাষ্ট্রের মালিক থাকে না, তখন রাষ্ট্রের মালিক হয়ে পড়ে কায়েমি স্বার্থবাদী দেশ-বিদেশি নানা গোষ্ঠী।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনি সহিংসতা নিয়ে ইসির সঙ্গে বৈঠকে ঐক্যফ্রন্ট
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এই রাষ্ট্রটি মানুষের জন্য একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র হবে কী না, সেটি নিশ্চিত হবে আগামী নির্বাচনে মাধ্য যদি রাষ্ট্র জনগণের হাতে আবার ফেরত যায়, জনগণ তার মালিকা ফেরত পায়। জনগণের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ তখনই নিশ্চিত হতে পারে, যখন সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই রাষ্ট্রে মালিক জনগণ হয়।’
আরও পড়ুন: ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার জনগণের সঙ্গে তামাশা: আ. লীগ
চলমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিশ্বাস করে, সেদিন দলে দলে, জনে জনে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে, সেখানে অবস্থান করে ভোটের অনিয়ম রুখবে, ভোট শেষ হবার পর নিজেদের জয় নিশ্চিত দেখে বাড় ফিরবে। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এক গণঅভ্যুত্থানের দিন হবে ৩০ ডিসেম্বর।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আব্দুর রব, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, ড. রেজা কিবরিয়াসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/একে