জু’মার বয়ান দিচ্ছেন মাওলানা সা’দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কাবস্থায়
১২ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৩১
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: কাকরাইল মসজিদের জু’মার বয়ান দিচ্ছেন মাওলানা সা’দ কান্ধলভী। আজ (শুক্রবার) জু’মা নামাজ উপলক্ষে তাবলীগের অনুসারীরা মসজিদে আসা শুরু করেছেন। তাদেরকে কড়া তল্লাসির পরে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার জানিয়েছেন, মাওলানা সা’দকে নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্ট হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে, কাকরাইল মসজিদের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে আমরা সর্তক দৃষ্টি রাখছি।
এদিকে মূল ফটকের অভ্যন্তরে তাবলীগ অনুসারীরাও সতর্ক রয়েছেন। তারা নিজস্ব ব্যবস্থায় পাহারা বসিয়েছে। এ বিষয়ে তাবলীগের এক স্বেচ্ছাসেবক সারাবাংলাকে বলেন, আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার আশংকা করছি না। মাওলানা সা’দ এখন জুমার বয়ান দিচ্ছেন। ভেতরের সব কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।
মাওলানা সা’দ বুধবার দুপুরে ঢাকায় এলে সা’দবিরোধীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে কাকরাইল মসজিদে নেওয়া হয়। তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তায় এখন পর্যন্ত তিনি সেখানেই রয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাকরাইল মসজিদ ও আশ-পাশের এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে এক সমাবেশে সা’দকে অবঞ্চিত ঘোষণা করে কওমী মাদ্রাসা বোর্ড।
এদিকে গতকাল হেফাজতে ইসলাম হুঁশিয়ারি দেয়, সন্ধ্যার মধ্যে সা’দ ভারতে ফিরে না গেলে শান্তি নষ্ট হবে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সা’দবিরোধী ও অনুসারী নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করে সমঝোতায় আসেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না মওলানা সা’দ। তিনি কাকরাইলে অবস্থান করবেন। তার সুবিধামতো সময় দিল্লি ফিরে যাবেন।
তাবলীগ জামাত সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ তাবলীগ জামাত পরিচালনা কমিটির শূরা সদস্য ১১ জন। এর মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং ছিল। এরকম পরিস্থিতিতে মাওলানা সা’দের দেওয়া ‘স্মার্ট ফোন বহন এবং আরবি শিক্ষার বিনিময়ে টাকা নেওয়া হারাম’ ফতোয়ার পরে সে দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়।
সারবাংলা/এমইউএস/এমএ