স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
রাজধানীর নাখালপাড়ার ‘রুবি ভিলায়’ নিহত তিন যুবক নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য ছিল। ঢাকায় বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল তারা।
শুক্রবার দুপুরে রুবি ভিলার পাশে সাংবাদিকেদের এ কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
বৃহস্পতিবার রাত দুইটা থেকে রুবি ভিলায় নামক ওই ভবনে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলে র্যাব। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে গুলোগুলির সময় ওই তিন যুবক নিহত হয়।
নিহতদের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মুফতি মাহামুদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১৪টি ডেটোনেটর, ৩টি সুইসাইডাল ভেস্ট, ২টি পিস্তল, ৩টি আইইডি বোমা ও ৪টি পাওয়ার জেল (বিস্ফোরক) উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ফ্ল্যাটটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযান শুরুর পরে জঙ্গিরা গ্যাসের চুলায় একটি গ্রেনেড রেখে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা সফল হয়নি, র্যাব গ্রেনেডটি উদ্ধার করেছে বলে জানান মুফতি মাহামুদ।
এছাড়াও সুইসাইডাল ভেস্ট বাধা অবস্থায় একটি লাশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
মুফতি মাহামুদ বলেন, নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি, তবে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর জাহিদ নামের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাদের একজন বাড়ি ভাড়া নেয়। পরে ভাই পরিচয়ে বাকি দুজনকে তার রুমে উঠায়।
তবে বাকি দুজনকে কখনো বাসা থেকে বের হতে দেখেনি বলে জানায় পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা।
র্যাব জানিয়েছে, বাড়ির মালিক সাব্বির হোসেন এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। কেয়ারটেকার রুবেল বাড়ির ভাড়ার ব্যাপারে দেখাশুনা করতেন। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলায় ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা।
এর আগেও ওই বাড়িতে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন জেএমবি সদস্যকে আটক করেছিল র্যাব।
জঙ্গি আস্তানায় কাজ করছে বোম ডিসপোজাল ইউনিট
তেজকুনীপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, তিন জঙ্গি নিহত
সারাবাংলা/এসআর/এসআরপি