সেনা নামায় ভোটারদের আস্থা বাড়বে : সিইসি
২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:১৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামায় ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়বে বলে মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
সোমবার সকালে রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে চলমান ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ মক ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মত দেন।
সিইসি বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হলো– ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা। এ সুযোগে আমি সব রাজনৈতিক দলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, নির্বাচন যেন নির্বাচনের মতো হয়। সহিংসতা, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, তর্ক–বিতর্ক, হাঙ্গামা পরিহার করে কেবল মাত্র নির্বাচনি প্রচারণার মধ্যেই নিবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এলে আরও সহায়তা হবে। আমি বিশ্বাস করি, অপ্রীতিকর সব কিছু এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে।
সেনাবাহিনী সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর সামনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন– তখন তারা স্ব-উদ্যোগে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সংযত করবে। ‘এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আলোকে তারা ব্যবস্থা নেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই। তাদেরকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চৌকষ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ইভিএমের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, প্রত্যেকেই সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ৬টি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোট নেয়া হবে। সিইসি বলেন, প্রশিক্ষণ নেয়ার পর প্রত্যেকেই এখন জানেন, কিভাবে ইভিএমে ভোট নিতে হয়।
নূরুল হুদা বলেন, ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ ছিল। সেই সন্দেহকে গুরুত্ব দিতে গিয়েই সীমিত সংখ্যায় মাত্র ৬টি আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। এখনও যারা ইভিএম নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন তাদেরকে বলি, আপনারা ৬টি আসনে চলমান প্রশিক্ষণে আসুন। সব কিছু ভালোভাবে জানুন, বুঝুন।
২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও ডিএমপি’র কমিশনারের সঙ্গে কথা বলিনি। এগুলো তো আইনশৃঙ্খলার বিষয়। ডিএমপি এসব ভালো ভাবে বোঝে। আমরা এগুলো তেমনভাবে জানি না। জনসভা ঘিরে কোনো থ্রেট আছে কিনা, কোন আশঙ্কা আছে কিনা আমি তা আলাপ করে দেখবো।
সারাবাংলা/ জিএস/জেএএম