হাওয়া ভবনের কর্মীসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে
২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাস বিরোধী পৃথক দুই আইনের মামলায় হাওয়া ভবনের সাবেক এক কর্মীসহ তিনজনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মাসুদ উর রহমান শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর মো. ফারুক হোসেন মামলার সুষ্ঠু-ন্যায় বিচার ও তদন্তের স্বার্থে প্রত্যকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন এ এম আলী হায়দার আলী নাফিজ, জয়নাল আবেদীন ও আলমগীর হোসেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানাবিধ সহিংস কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর মতিঝিল থানাধীন সিটি সেন্টারের ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইউনাইটেড কর্পোরেশনে র্যাব অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এমডি আসামি আলী হায়দারকে আটক করে। এ সময় তার প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে পল্টন থানাধীন হাউস বিল্ডিং রোডের বায়তুল খায়ের টাওয়ারের সিটি মানিটারি এক্সচেঞ্জ থেকে আরও ৫ কোটি টাকা জব্দ করা হয়।
আলী হায়দার জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার মামা ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের ঘনিষ্ট বন্ধু শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্যপদপ্রার্থী মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপু। তার নির্বাচনী কাজে অবৈধ প্রভাব খাটানো এবং নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতার জন্য ২/৩ দিন আগে গুলশানস্থ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমেনা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লি. থেকে নির্বাহী পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন এবং অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন ৩ কোটি টাকা নিয়ে যায়।
পরদিন আমেনা এন্টারপ্রাইজের অফিসে গিয়ে জয়নাল আবেদীন এবং আলমগীর হোসেনকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫০ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা জব্দ হওয়া টাকা নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব ও নাশকতা সৃষ্টির কাজে ব্যবহার করত বলে র্যাব জানায়।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া রিমান্ড বাতিল চেয়ে আসামিদের জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের পক্ষের জামিন আবেদন নাকচ করে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ভোটের মাঠে দেড়শ কোটি টাকা, হাওয়া ভবনের সাবেক কর্মীসহ আটক ৩
জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এই টাকা বিতরণের পরিকল্পনা ছিল বলে জানায় র্যাব।
ওই তিনজনকে আটকের পর মঙ্গলবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং ও অপরাধ দমন আইনে দুটি মামলা হয়।
র্যাব-৩ এর কর্মকর্তা ফয়জুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওই তিনজনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর মতিঝিল থানায় দুটি মামলা দায়ের করে তাদের পুলিশে সোর্পদ করা হয়।’
সারাবাংলা/এআই/একে