জামায়াত আসবে জানলে ঐক্য করতাম না: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ড. কামাল
২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৯
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জামায়াত নেতারা ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন জানলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকতেন না বলে জানিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভারতীয় সাংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত হওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।
ড. কামাল বলেন, দুঃখের সঙ্গে আমাকে বলতে হচ্ছে, জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়াটা মূর্খের মতো কাজ। আমি লিখিত দিয়েছি যে ধর্ম, মৌলবাদ ও চরমপন্থা আনা যাবে না, জামায়াত নেতাদের কোনো সমর্থন দেব না।
তিনি আরও বলেন, আমি যদি জানতাম জামায়াত প্রার্থীদের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে তাহলে ঐক্যফ্রন্টের অংশীদার হতাম না। এই লোকগুলো যদি সরকারে অংশ হয় তাহলে আমি একদিনও তাদের সঙ্গে থাকবো না।
ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, আমি, হ্যাঁ অথবা না বলবো না। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কোনো পদ ও বেতন ছাড়াই আমি কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ধানের শীষে ভোট দিলে আপনারা মুক্ত হবেন: ড. কামাল
পুলিশ দলীয় লাঠিয়ালে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে ড. কামাল হোসেন বলেন, তিনি পুলিশ ও প্রশাসন থেকে দলীয়করণ দূর করতে চান।
ড. কামাল আরও বলেন, গণতন্ত্র জটিলভাবে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা অর্থবহ হয় যখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ থাকে।
এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে কামাল হোসেন বলেন, আমি ভোটের অপেক্ষায় আছি। ভোটের দিন একটি স্বাধীনতার দিন। যদি এবারের নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে তা হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস।
ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের ব্যাপারে খালেদা জিয়া নিজেকে সংশোধন করতে শুরু করেছেন বলেও মন্তব্য করেন ড. কামাল। তিনি বলেন, ভারতকে বিএনপি বলেছে, তার ভুল ছিল। খালেদা জিয়া যখন ভারত গেলেন, তখন তিনি এটা বলেন।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ, ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, আ স ম আব্দুর রব নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং মাহমুদুর রহমান মান্না নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য মিলে গড়া হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারানো জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতা ধানের শীষ প্রতীকে ও ৩ জন স্বতন্ত্রভাবে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।
সারাবাংলা/এনএইচ/এমআই