খুলনায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থীর নানা অভিযোগ
২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৫
।।ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
খুলনা: খুলনা মহানগরীতে পুলিশের বিরুদ্ধে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাণ্ডব চালানো, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখা, ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের ফরম ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন খুলনা-২ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) মিয়াপাড়ার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাতভর পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নগরীতে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমার এলাকার ১৬টি ওয়ার্ডের মোড়ে মোড়ে ও গলি মুখে পাহারা বসিয়েছে। সারারাত কর্মীদের বাড়ি বাড়ি রাম দা নিয়ে হামলা করেছে, আগুন দিয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার সময় যুবদল কর্মী সম্রাটকে কুপিয়েছে। রামদার কোপে তার এক হাতের ৪টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর থেকে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার ও হাজার খানেক কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। সাবেক কাউন্সিলর রোকেয়ার বাড়ি থেকে সমস্ত পোলিং এজেন্ট ফরম সদর থানার দারোগা রহমান ও মিলন নিয়ে যায় এবং বাড়ির মেয়েদের বলে এসেছে ভোটকেন্দ্রে গেলে সবার হাত-পা ভেঙ্গে দেব। ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি মহিউদ্দিন টারজান গায়েবি মামলায় তফসিল ঘোষণার আগে থেকে জেলে। গতরাতে তার বাড়ির দরজায় রাম দা দিয়ে কোপানো হয় এবং বাড়ির সদস্যদের হুমকি দেয়া হয়। তারা সারারাত কান্নাকাটি করেছে। আমি প্রশাসন ও পুলিশের সাহায্য চেয়ে পাইনি। আজ শনিবার সকালেও আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপি কর্মীদের শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছে।’
মঞ্জু আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে বড় বাধা পুলিশ। তারা আমার বাড়ির দুইপাশে পাহারা বসিয়েছে। ফলে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ ফরমসহ নির্বাচনি উপকরণ পাঠানো যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীকে ঘরে বসিয়ে না রেখে রাস্তায় নামিয়ে দিতে হবে। নইলে আমরা নির্বাচনি প্রস্তুতিও নিতে পারছিনা।’
নির্বাচন কমিশনে ৩০টি অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন এই প্রার্থী।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা অনেক করেছেন। এবার থামেন। যেটুকু সময় আছে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দিন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম, মোল্লা আবুল কাসেম ও কাজী মাহমুদ আলী।
সারাবাংলা/এনএইচ/এসএমএন