ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপির নির্দেশনা
২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৪১
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনকে ঘিরে ৩১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বাসস।
ডিএমপি জানায়, ৩১ ডিসেম্বর রাতে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এসময় ওই ব্যক্তিরা পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা ও দুর্ঘটনা ঘটায়। এ ধরনের নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড বা বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
ডিএমপির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির যেকোনও ধরনের আশঙ্কা রোধে ঢাকা মহানগরীতে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনও ধরনের জমায়েত,সমাবেশ,উৎসব করা যাবে না। নববর্ষ উদযাপনকালে উন্মুক্ত স্থানে কোনও ধরনের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
এছাড়া, কোথাও কোনও ধরনের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।
ডিএমপির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পর বহিরাগত কোনও ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
এছাড়া, গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে এ দুটি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
একইভাবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যেসব নাগরিক বসবাস করেন না, তাদের ওইসব এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
ডিএমপির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সন্ধ্যা ছয়টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
একইসঙ্গে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
নির্দেশনায় বলা হয়, গুলশান, বনানী ও বারিধারায় প্রবেশের সব রাস্তা রাত আটটা থেকে বন্ধ রাখা হবে। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং আমতলী ক্রসিং (মহাখালী) খোলা রাখা হবে। সেক্ষেত্রে গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বসবাসরত নাগরিকদের রাত আটটার মধ্যে ওই এলাকায় প্রবেশের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রাত আটটা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নম্বর রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং ওই এলাকাগুলোতে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, তবে ওই এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
একইভাবে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা হতে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত শুধুমাত্র শাহবাগ ক্রসিং এবং নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিচয় দিয়ে এবং শনাক্তকরণ পূর্বক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পলাশী ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং, বক্শীবাজার ক্রসিং, রোমানা চত্বর ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং এবং শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব ধরনের গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
হাইকোর্ট পয়েন্ট হতে আগত সব ধরনের গাড়ি দোয়েল চত্বর দিয়ে বামে মোড় নিয়ে শহীদুল্লাহ হল হয়ে চাঁনখারপুল ক্রসিং দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। কেউ বেপরোয়া, মদ্যপ ও বিপজ্জনক অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।
সড়ক ব্যবহারের বিষয়ে যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে ফোন করা যাবে— ডিসি ট্রাফিক (নর্থ) ০১৭১৩৩৭৩২২৫, এডিসি ট্রাফিক (নর্থ) ০১৭১৩৩৭৩২২৬, এসি ট্রাফিক (গুলশান) ০১৭১৩৩৯৮৪৯৭, এসি ট্রাফিক (উত্তরা) ০১৭১৩৩৯৮৪৯৮, ডিসি ট্রাফিক (সাউথ) ০১৭১৩৩৭৩২২৩, এডিসি ট্রাফিক (সাউথ) ০১৭১৩৩৭৩২২৪, ডিসি (গুলশান) ০১৭১৩৩৭৩১৬৬ ও ডিসি (উত্তরা) ০১৭১৩৩৭৩১৫৬।
সারাবাংলা/এনএইচ