পটিয়া-বাঁশখালীতে নির্বাচনি সংঘাতে কিশোরসহ দুজনের মৃত্যু
৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:১৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের পটিয়া ও বাঁশখালী উপজেলায় দুটি পৃথক নির্বাচনি সংঘাতের ঘটনায় এক কিশোরসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের পশ্চিম মালিয়ারা ভোটকেন্দ্রে রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নৌকা এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল সারাবাংলাকে জানান, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাতের একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়। এ সময় সংঘাতের মাঝখানে পড়ে আবু সাদেক (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।’
আবু সাদেক রাজনৈতিক দলের কর্মী নন, সে ভোট দেখতে এসে সংঘাতের মধ্যে পড়ে যায় বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে বাইরে সংঘাত হলেও ভেতরে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ আছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সামশুল হক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন বিএনপির এনামুল হক এনাম।
এর আগে শনিবার রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আহমদ কবির (৪৫) কাথারিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আফরুজুল হক টুটুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাতে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ভোটকেন্দ্র দখল করতে গেলে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে ত্রিমুখী সংঘাত হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমদ কবির মারা গেছেন। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।’
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল এবং স্বতন্ত্র হিসেবে আপেল প্রতীকে জামায়াত প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।
বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সাংসদ ও সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা জহিরুল ইসলাম।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই