বর্ষবরণ উৎসবে সারা বিশ্ব
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ২২:৩৫
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
বিদায় নিচ্ছে ২০১৮ সাল। নতুন সম্ভাবনা, পরিকল্পনা আর প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিশ্বের দুয়ারে কড়া নাড়ছে নতুন বছর। বিদায়ী বছরে রয়েছে অনেক পাওয়া, না পাওয়া, আক্ষেপ। তবে সব ভুলে গিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে উদযাপিত হচ্ছে নতুন বছরের আগমন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে সামাওয়া। নতুন বছরকে গ্রহণ করে নিতে রাজধানী আপিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটেছে শত শত আঁতশবাজির। সবার আগে ২০১৯ সালে পদার্পণ করতে সেখানে স্থানীয়দের পাশাপাশি জড়ো হয়েছিল বিদেশী পর্যটকরাও।
এদিকে, দেশের হিসেবে নতুন বছর উদযাপনে সামাওয়া এগিয়ে থাকলেও শহর হিসেবে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। ৫০০ কেজি আঁতশবাজি দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছে অকল্যান্ড বাসিন্দারা।
সময়ের হিসেবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো বিশ্বের বাকিদের চেয়ে কিছুটা আগে নতুন বছরের মুখ দেখেছে।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনুসারে, দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রায় ১৪ ঘণ্টা (বাংলাদেশ সময় হিসেবে ৮ ঘণ্টা) আগে নতুন বছরে পা দিয়েছে সামাওয়া ও কিরিবাতি দ্বীপপুঞ্জ। এরপরই রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনীতে নতুন বছরকে বরণ করতে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হয়েছিল। শত শত আঁতশবাজির উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়েছিল সিডনীর আকাশ।
আয়োজকরা বলেন, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে খরচ করা হয়েছে ৪২ লাখ ডলার। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল নববর্ষ উদযাপন ছিল এটি। টানা ১২ মিনিট ধরে সিডনীর আকাশ প্রজ্বলিত ছিল আঁতশবাজির বিস্ফোরণে।
সিডনীর পরেই ব্রিসবেন’এ উদযাপিত হয় ইংরেজি নববর্ষ। এরপর মেলবোর্নসহ অন্যান্য শহরেও উদযাপন শুরু হয়েছে।
সাধারণত, গোপনীয়তা অবলম্বনকারী উত্তর কোরিয়া এবার ব্যাপক আকারে নতুন বছর উদযাপনে মেতে ওঠেছে। ২০১৯ সালকে বরণ করে নেওয়ার আয়োজন অনলাইনে সরাসরি প্রচার করেছে দেশটি। আঁতশবাজিসহ নাচ-গানে উৎসবমুখর পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি দক্ষিন কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও জাপানেও উদযাপিত হয়েছে নতুন বছরের আগমন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বিগ বেন’র আওয়াজে স্বাগত জানানো হবে নতুন বছরকে। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সংস্কারের কাজে বন্ধ রয়েছে বিশালাকৃতির ঘড়িটি। এছাড়া আয়োজন করা হবে আঁতশবাজির। এই আঁতশবাজি দেখতে জড়ো হবেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।
এদিকে, নতুন বছরের ব্যস্ততম রাত উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাজ্যের জরুরী সেবাকর্মীরা। আঁতশবাজি দেখতে টিকিট কিনতে যাওয়া প্রত্যেককে হালকা করে ব্যাগ ভরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরো আয়োজনটি প্রচার করবে বিবিসি।
নিউ ইয়র্কে নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে মোতায়েন করা হবে ১ লাখ ৪৭ হাজার নিরাপত্তাকর্মী।
সারাবাংলা/ আরএ