‘সর্বোচ্চ ধৈর্য প্রদর্শন করায় রাস্তা ছেড়েছে শ্রমিকরা’
২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য প্রদর্শন করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি—ফলে তারা রাস্তা ছেড়ে গেছে, বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।
‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। পুলিশের সামনে নৈরাজ্য হচ্ছে।একের পর এক বাস ভাঙচুর করছে, বাসে আগুন দিচ্ছে—এসব দমনে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। এরপরও পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখিয়েছে।’—বলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে যাত্রীবাহী বাসচাপায় নাহিদ পারভিন পলি (২০) ও মিম আক্তার (১৪) দুই পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক গাড়ি ভাঙচুরের পর আগুন দেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সুপ্রভাত ২টি, অনাবিল ১টি ও প্রচেষ্টার ২টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বলেন, ‘মৃত্যুর খবর আশেপাশের গার্মেন্টসগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে রাস্তায় নেমে আসে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। প্রথমে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শ্রমিকদের একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। পুলিশ শুরু থেকেই ধৈর্য ধরে ছিল। কারণ তারা আমাদেরই ভাই-বোন।’
আমরা তাদের প্রতি বল প্রয়োগ করতে পারতাম কিন্তু করিনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বুঝিয়েছি। সুপ্রভাত গাড়িটি ও বাসের চালককে আটক করে হাতিরঝিল থানায় এনেছি। তাদের বিচার করা হবে মর্মে শ্রমিকদের বোঝানো হয়েছে। এরপরেও তারা স্বজন ও সহকর্মী হারানোর বেদনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ফলে তারা কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
পুলিশ নারী শ্রমিকদের মারধর করেছে যার ফলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ও গাড়ি ভাঙচুর করে— শ্রমিকদের এমন দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের (ট্রাফিক) এডিসি নাজমুন নাহারসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তারপরও পুলিশ সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরে অনেককে সরিয়ে দিয়েছে। এরপরও কেউ যদি আহত হয়ে থাকে, সে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।’
অন্যদিকে বাস শ্রমিকদের দাবি, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিভিন্ন পরিবহনের শতাধিক গাড়ি ভাংচুর ও চারটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। আগুন থেকে বাঁচাতে ঝুকি নিয়ে গাড়িগুলো ঘুরিয়ে বিভিন্ন দিকে চলে যায় চালকরা।
সারাবাংলা/ইউজে/এমএমএইচ/এমআই