সিরিয়া থেকে চার মাসে প্রত্যাহার হবে মার্কিন সেনা
২ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:০৪
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা চারমাসে বর্ধিত করতে রাজি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগ দিয়ে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার ধীরে হবে।
প্রাথমিকভাবে দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, ১৯ ডিসেম্বর সবাইকে চমকে দিয়ে ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম তখন বলেছিল, ৩০ দিনের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার শেষ হবে। কিন্তু সোমবার দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প ইরাক ও সিরিয়ার মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার পল জে লাক্যামেরাকে গত সপ্তাহে বলেছেন, কয়েক মাস ধরে সেনা প্রত্যাহার করতে পারেন তিনি।
এ বিষয়ে পত্রিকাটি মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। পত্রিকাটি এ বিষয়ে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে। এছাড়া কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে তার মনোভাব পরিবর্তন করতে পারেন।
এদিকে রোববার (৩০ ডিসেম্বর) মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে রাজি হয়েছেন ট্রাম্প। গ্রাহাম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এ বিষয়ে ট্রাম্পকে তার জেনারেলদের সঙ্গে আলোচনা করতে বলবেন।
ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সময় বলেছিলেন, সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস পরাজিত হয়েছে। সেখানে মার্কিন সেনাদের অবস্থানের আর কোন কারণ নেই। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি নিজের দাবি থেকে কিছুটা সরে গেছেন। বলেছেন, সেখানে আইএস ‘প্রায় পরাজিত’ হয়েছে।
ক্ষোভ
সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী লড়াইয়ে সহায়তা করতে ২০০০ সেনা মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এখনও সেখানে আইএস’র অল্প সংখ্যক যোদ্ধা রয়ে গেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা পূর্বে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তারা আইএস’র সম্পূর্ণ পরাজয় নিশ্চিত করতে চান। যেন দলটি পুনরায় সংগঠিত না হতে পারে।
সিরিয়া থেকে ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে তার নিজ দলের সদস্যরাও রয়েছেন। ঘোষণার মাত্র একদিনের মাথায় তার সঙ্গে মতভেদের কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস। এছাড়া সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ‘গ্লোবাল কোয়ালিশন টু ডিফিট আইএস’এ নিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ব্রেট ম্যাকগুর্কও পদত্যাগ করেন।
সারাবাংলা/ আরএ