প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার হাঙ্গেরি যাচ্ছে রাবেয়া-রোকাইয়া
৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৩৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় চিকিৎসার জন্য আজ শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) রাতেই হাঙ্গেরি যাচ্ছে মাথা জোড়া লাগানো শিশু রাবেয়া-রোকাইয়া।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিশু রাবেয়া-রোকাইয়ার মা-বাবা’র হাতে সপরিবারে হাঙ্গেরি যাওয়ার বিমান টিকিট তুলে দেন। এক সংবাদ সম্মেলনে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ডা. সামন্ত লাল বলেন, দীর্ঘ একবছর ধরে মাথা জোড়া লাগানো রাবেয়া-রোকাইয়া চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে জার্মান ও হাঙ্গেরির দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে দেখানো হয় শিশু দু’টিকে। তারা হাসপাতালেই দুই দফায় মাথায় এনজিওগ্রামের মাধ্যমে ব্রেইনের প্রধান রক্তনালী পৃথক করার কাজ সফলভাবেই শেষ করেন। এরপর তারা শিশু দু’টিকে হাঙ্গেরিতে নিয়ে যৌথ চিকিৎসা করাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সামন্তলাল সেন বলেন, হাঙ্গেরিতে শিশু দু’টির চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করবে জার্মানভিত্তিক ‘ফর বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন’ নামের একটি সংগঠন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘদিন শিশু দু’টিকে বার্ন ইউনিটে প্লাস্টিক ও নিউরো সার্জনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেই তাদের চিকিৎসার দুই ধাপ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করার জন্য তাদের হাঙ্গেরি পাঠানো হচ্ছে। সেখানে পাঁচটি বিশেষজ্ঞ টিম তাদের চিকিৎসা পরিচালনা করবেন। আনুমানিক তিন থেকে চার মাস তারা সেখানে চিকিৎসা নেবে।
হাঙ্গেরিতে শিশু দু’টির চিকিৎসা বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে তাদের ব্রেইনের সফট টিস্যু আলাদা করাই প্রথম কাজ। এর সঙ্গে সঙ্গে ইনজেকশনের মাধ্যমে তাদের মাথার খুলি ফুলিয়ে ভেতরে কিছুটা ফাঁকা করা হবে।
ডা. কালাম বলেন, তাদের পৃথক করার জন্য আমরা যে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি এরকম রোগীর সফলতা ২০ শতাংশেরও কম। তবুও আমরা আশাবাদী। এখন থেকে আনুমানিক ছয় মাস পর ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের মাথা পৃথক করার কাজ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম রাবেয়া-রোকাইয়ার মা-বাবা’র কাছে হাঙ্গেরি যাওয়ার টিকিট হস্তান্তরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শিশুদের জন্য দোয়া করি। তাদের বিরল অপারেশন হতে যাচ্ছে। তারা যেন স্বাভাবিক ভাবে জীবনে ফিরতে পারে, সেটুকুই আমরা প্রত্যাশা করি। আশা করি, হাঙ্গেরি থেকে দেশে আসার পরে তাদের মাথা বিচ্ছিন্ন করাও সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা ও আর্থিক অনুদানে তাদের বিদেশ পাঠানো হচ্ছে। এর পুরো খরচ বহন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সারাবাংলা/এসএসআর/জেএএম