মাশরাফির কাছে তামিমের উইকেটই সেরা
৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:৪৮
।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।
ঢাকা: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন ২০১৭ সালের মার্চে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গিয়ে কলম্বোয় বলা নেই কওয়া নেই হঠাত করেই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন। আর সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গেল বছরের বিপিএলে। এক বছরেরও বেশি সময় পর এই ফর্মেট বল হাতে নেমেছেন। কিন্তু তার বোলিং দেখে কী সেটা বোঝার উপায় ছিল? সিম বল ও কাটারের ভেলকিতে কুমিল্লার চার ডাকসাইটে ব্যাটসম্যানকে ড্রেসিং রুমের পথ দেখালেন।
শুনবেন তারা কারা? তামিম ইকবাল, স্টিখ স্মিথ, এভিন লুইস ও ইমরুল কায়েস। তামিমকে ৪ ও স্মিথকে ০ রানে তুলে দিয়েছেন ফরহাদ রেজার হাতে, এভিন লুইসকে ৮ রানে নাজমুল ইসলাম অপুর হাতে ও ইমরুল কায়েসকে ২ রানে রবি বোপারার নিরাপদ হাতে তুলে নিয়েছেন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১১ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই মাশরাফির কথা বলছি।
টি-টোয়েন্টির যে কোন ফর্মেটে এটি মাশরাফির ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ইনিংস। এরআগে এমন ভেলকি দেখিয়ে ছিলেন ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড সফরে। সেটা অবশ্য আন্তর্জাতিক। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ১৯ রানের বিনিময়ে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। এতদিন এটিই ছিলো মাশরাফির সেরা বোলিং ইনিংস।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। আর এই ছাড়িয়ে যাওয়ার ম্যাচে এদিন মাশরাফির সেরা শিকারি ছিলেন তামিম ইকবাল। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সে কথাই জানালে এই রংপুর রাইডার্স কাণ্ডারি।
‘চার উইকেটের ভেতরে তামিমের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। স্মিথও গুরুত্বপূর্ণ। তামিম সব সময় আমাকে ভালো খেলে। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে বা চার দিনের, সবই সে আমার বিপক্ষে ভালো খেলে, স্ট্রাইক রেটও ভালো থাকে।’ ওর উইকেটটা পাওয়া আমার আত্মবিশ্বাসের লেভেল বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য উইকেটও গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কিন্তু তামিমেরটা আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
সঙ্গতই বলেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। কেননা তামিমের উইকেটটিই ম্যাচের টোন সেট করে দিয়েছে। মিরপুরের ডাবল পেসের উইকেটে ম্যাশ বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন উইকেটে সুবিধা আদায় করে নেওয়া যাবে। মানে লেংথে বল ফেলতে পারলেই কেল্লাফতে। নিজে বুঝলেন, সতীর্থ বোলারদেরও বোঝালেন। ব্যাস, টপাটপ ক্রিজছাড়া হলেন ভিক্টোরিয়ান্স ব্যাটসম্যানরা। ৬৩ রানে গুটিয়ে গেল কুমিল্লা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ৬৪ রানের লক্ষ্য ছুয়ে ফেললো মাত্র ১ উইকেটের খরচায়।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমএইচ