টাকা দিলে ফেল শিক্ষার্থীকে পাস করান এই শিক্ষক
৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:৫৩
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ফেল করা শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ দেখানোর অভিযোগে নাটোরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক মাহমুদুল নবী মিলন (৩৫) নাটোরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের শিক্ষক।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোর্তুজা খান বুধবার (৯ জানুয়ারি) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়ায় শিক্ষক মাহমুদুল নবী মিলনের বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই শিক্ষকের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ খাতা, প্রতিষ্ঠানের সিল-প্যাড ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড জব্দ করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোর্তুজা খান বলেন, শিক্ষক মিলন কারিগরি বোর্ডের খাতা জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন। প্রতিটি বিষয়ে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি এ কাজ করে আসছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বুধবার (৯ জানুয়ারি) কারিগরি বোর্ডের কম্পিউটার বিষয়ের সি প্রোগ্রামিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বিষয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে ওই শিক্ষক টাকা হাতিয়ে নেন। টাকার বিনিময়ে দীর্ঘদিন তিনি এই কাজ করে আসছিলেন। পরীক্ষার দিন সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তার মোবাইল থেকে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর জব্দ করা হয়। এছাড়া জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে নাটোর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকসহ বেশকিছু শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে শিক্ষক মিলন স্বীকার করেন, কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষার খাতা থেকে টপ শিট পরিবর্তন করে ফাঁকা খাতায় উত্তর লিখে আবার টপ শিট লাগিয়ে জালিয়াতি করে আসছিলেন তিনি।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন বলেন, ‘পরীক্ষার খাতা জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে। এ চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল বলেন, ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে শিক্ষক মিলনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
সারাবাংলা/একে