জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৫
১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৫৭
।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাতে জবি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানার ছবিতে ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের ছবিকে কেটে বাদ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয় সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীরা। এরপর সভাপতি গ্রুপের কর্মীরাও এর বিপক্ষে ফেসবুকে পোস্ট ও কমেন্ট বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগরে ১৩তম ব্যাচের সালমান এফ রহমান, সৈয়দ অভি, মনোবিজ্ঞান ১৩তম ব্যাচের তানভীর, গণিত ১৩তম বিভাগের শান্ত, এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অর্পণের নেতৃত্বে ভাস্কর্য চত্বরে থাকা সভাপতি গ্রুপের কর্মী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার শাকিলের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার মাথা ফাঁটিয়ে দেয়।
এরপর সভাপতি গ্রুপের কর্মীরাও বিভিন্ন দিক থেকে একত্রিত হতে থাকলে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হতে থাকে। এক সময় ১৩তম ব্যাচের শাহিরুল উম্মি, ১২তম ব্যাচের পিয়াল এবং ১১তম ব্যাচের সানের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ওপর হামলা করে। এতে সাধারণ সম্পাদকের কর্মী ১২তম ব্যাচের সাহেদ, ইতিহাস ১২তম ব্যাচের নূরে আলম এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান ১১তম ব্যাচের পারভেজ আহত হয়। সংঘর্ষে পিয়ালের আঘাতে নূরে আলম মারাত্মকভাবে আহত হয়।
উল্লেখ্য, নূরে আলম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় বহিষ্কৃত হয়েছেন। এর একটু পরেই দুপুর ১২টার দিকে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ছেলেরা হাতে রড, চাপাতি, হাতুড়ি নিয়ে আক্রমণ করে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ওপর। এতে সভাপতি গ্রুপের একাউন্টিং ১৩ ব্যাচের নাফিজ এবং হাতুড়ির আঘাতে গণিত বিভাগের নাহিদের মাথা ফাঁটিয়ে দেয়।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, বাসে বসা নিয়ে সিনিয়র জুনিয়রের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আমরা তা সমাধান করেছি। তবে তার কর্মীদের হাতুড়ি, চাপাতি নিয়ে আক্রমণের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি নিয়ে সংঘর্ষের কথা তিনি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, এরকম কিছু নয়। বাসে বসা নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তা সমাধান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেবো। বহিষ্কৃতদের ভিতর যারা ক্যাম্পাসে অরাজকতা করছে তাদের ব্যাপারেও কঠোর পদক্ষেপ নেবো। বহিষ্কৃতদের আমরা সন্তানের মতো দেখি বলেই এতদিন আমরা নমনীয় ছিলাম এবার ছাড় দেওয়া হবে না।
সারাবাংলা/জেআর/এমআই