Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোট নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ বাম দলের প্রার্থীদের


১১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:০১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীরা।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত গণশুনানিতে বাম জোটের প্রার্থীরা এসব অভিযোগ করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া গণশুনানি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বাম জোটের নেতাকর্মীরা জানান, গণশুনানিতে ১৩১ জন প্রার্থী নির্বাচনের দিনে অনিয়মের কথা তুলে ধরবেন।

সকালে পঞ্চগড়-২ আসনের বাম দলের প্রার্থী আশরাফুল আলম ভোটের দিনে বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভোটের দিনে সরকারি দলের লোকজন ভোট কেন্দ্রে জবর দখল করে রেখেছিল। কাউকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। বিরোধী দলের কোনো পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ঠিকমতো গণসংযোগ করতে দেয়নি।

গাইবান্ধা-১ আসনের প্রার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, ভোটগ্রহণের আগের রাতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যালট পেপারে সিল মেরে রাখা হয়েছিল। ওই দিন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাউকে ভোটকেন্দ্রের আশপাশে যেতে দেওয়া হয়নি। ভোটগ্রহণের আগের রাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

পাবনা-১ আসনের প্রার্থী জুলহাসনাইন বাবু বলেন, ভোটের জন্য ঠিকমতো প্রচারণা করতে দেওয়া হয়নি। সবসময় আমাদের নেতাকর্মীদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে। প্রতি পদে পদে বাধা দেওয়া হয়েছে আমাদের।

বামজোটের প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকার বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বিরোধী দল ও জোটগুলোর কোনো দাবিই মানেনি। সরকার পদত্যাগ করেননি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হয়নি, জনগণের সমর্থনহীন বিতর্কিত সংসদ বিলুপ্ত করা হয়নি, অকার্যকর ও সরকারি দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশনে পরিবর্তন আনা হয়নি। সর্বোপরি নির্বাচনের টাকার খেলা বন্ধসহ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এর পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি, হুমকি শাস্তি দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে, দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।

তারা অভিযোগ করে বলেন, দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর সংলাপের ফল হিসাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সরকার ও সরকারি দল সুষ্ঠু নির্বাচনের যুক্তিপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত কোনো দাবিই মানেনি।

প্রার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, এবারের নির্বাচনে দেখা গেছে, মনোনয়ন বাণিজ্য বড় বাণিজ্য পরিণত হয়েছে। সমগ্র নির্বাচন টাকার খেলায় পর্যবসিত হয়েছে। এ কারণে সংগ্রামী, নিবেদিত প্রাণ পোড়খাওয়া রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা আজ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে দিলে এবং এই ব্যবস্থার আমুল সংস্কার ছাড়া আগামীতে জাতীয় সংসদে আর জনগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকবেনা।

গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাও-৩ আসনের প্রার্থী প্রভাত সমীর, দিনাজপুর-৩ আসনের প্রার্থী বদিউজ্জামাল বাদল, নীলফামারী-৩ আসনের প্রার্থী ইউনুস আলী, বংপুর-৩ আসনের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বাবুল, কুড়িগ্রাম-২ আসনের প্রার্থী উপেন্দ্র নাথ রায়, বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী আমিনুল ফরিদসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা।

সারাবাংলা/এআই/জেএএম

একাদশ নির্বাচন বাম জোটের প্রার্থীদের ভোটে অনিয়ম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর