Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ


১ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:৩৫

ইকবাল জাফর, সারাবাংলা

আজ ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।  ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের  এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মা আমীনার কোল উজ্জ্বল করে বিশ্বমানবের রহমতস্বরূপ জন্মগ্রহণ করেন। এই ধরাধামে তাঁর ওই আগমন ছিল—  অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার, গোঁড়ামি ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির সুস্পষ্ট বার্তা।

মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন । প্রচার করেছিলেন শান্তি ও সাম্যের ধর্ম ইসলাম। ফলে, তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির সুকোমল বাণীর প্রচার— সারা বিশ্বের মানুষের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

১২ রবিউল আউয়াল একদিকে আনন্দের, অপর দিকে বেদনার। কারণ—  এই দিনে মানবতার আশীর্বাদ-স্বরূপ প্রেরিত-পুরুষ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়ে ওফাত লাভ করেন।

অশেষ পুণ্যময় এই দিনটি বিশ্বের নানা প্রান্তের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদা-গুরুত্ব ও  ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে  পালন করা হয়। এ  উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও  প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, “মহান আল্লাহ তা’আলা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে হযরত মুহাম্মদকে (সা.) এ জগতে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।”

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে আরও বলেন, ‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) অনুপম শিক্ষার অনুসরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তাঁর বাণীতে বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই প্রতিটি জনগোষ্ঠীর অফুরন্ত কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিহিত রয়েছে। আজকের অশান্ত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.)-এর অনুপম শিক্ষার অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হতে পারে।’

পৃথিবীতে মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে বিশ্বনবী (সা.) আবির্ভূত হয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহানবী (সা.) অন্ধকার যুগের সকল আঁধার দূর করে সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।’

কর্মসূচি : যথাযথ মর্যাদায় দিনটি উদ্‌যাপনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এরওপর আলোচনা, সমাবেশ, ধর্মীয় শোভাযাত্রা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

দিবসটি উপলক্ষে  সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় পতাকা ও‘কালিমা তায়্যিবা’ খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইটপোস্টে প্রদর্শন করা হয়েছে।  রাতে সরকারি ভবনসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ সামরিকস্থাপনাসমূহে আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনীর ওপর আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া,  বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ধর্মীয়-রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সারাবাংলা/আইজেকে/ডিসেম্বর ০২, ২০১৭

১২ রবিউল আউয়াল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.).আজ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানবসত্তার চিরমুক্তি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর