ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত আজ
১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৩
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই যুক্তরাজ্যের এমপিরা গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টে ভোট দেবেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সমর্থিত বেক্সিট চুক্তিকে মনে করা হচ্ছে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের আইনি কাঠামো। তবে অধিকাংশ পার্লামেন্ট সদস্যদের এই চুক্তিতে দ্বিমত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মে শেষ সময়েও আহ্বান জানিয়েছেন তার প্রস্তাবিত চুক্তিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। আলোচনার শেষ সময়ে সোমবার (১৪ জানুয়ারি) তিনি পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি বলছি না চুক্তিটি একেবারেই নির্ভুল। তবে ইতিহাসের পাতা যখন জনগণ উল্টাবে তখন এই হাউজের সিদ্ধান্ত তাদের চোখে পড়বে। তারা জানতে চাইবে যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়তে চেয়েছিল কিনা। আমরা অর্থনীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছিলাম কিনা অথবা দেশের মানুষকে অবনমনের দিকে ঠেলে দিয়েছি?
এসময় ব্রিটিশ এমপিদের আপত্তি নর্দান আয়ারল্যান্ড (যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন) ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড (ইইউ সদস্য) সীমান্তে প্রস্তাবিত ‘ব্যাকস্টপ পলিসি’ নিয়েও নিশ্চয়তা দিতে চেষ্টা করেন মে। তিনি এ ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে লিখিত নিশ্চয়তা আনার কথাও বলেন। স্পর্শকাতর এই সীমান্তে কঠোর না হতে ইইউ ও ব্রিটেন একমত হলেও তা বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে দ্বিধা আছে।
এর আগে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টে পাঁচ দিনের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তি নিয়ে মে তার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদেরও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। একশ’র বেশি নিজ দলের এমপি তার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারেন।
আগামী ২৯ মার্চ রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ জোট ছাড়বে যুক্তরাজ্য। এই সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে পাস করাতে ব্যর্থ হলে কোন চুক্তি ছাড়াই অর্থাৎ ‘নো ডিল’ ব্রেক্সিট কার্যকর হবে। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মে বড় ধরনের পরাজয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি ব্রেক্সিট প্রস্তাবে হেরে গেলে তার দল আগাম নির্বাচন চাইবে।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট প্রত্যাখান করলে, মে আরও তিনদিন সময় পাবেন বিকল্প ব্রেক্সিট চুক্তি বা ‘প্ল্যান বি’ এমপিদের কাছে উপস্থাপন করার। এক্ষেত্রে মে আবারও ব্রাসেলসে ইইউ নেতাদের সাথে আলোচনা করতে পারেন।
উল্লেখ্য, এই ভোটগ্রহণ ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। তবে এমপিরা চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করতে পারেন এমন আশঙ্কায় শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করেন থেরেসা মে।
সারাবাংলা/এনএইচ