Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্যাকেজিং শিল্পে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে’


১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:১৫

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: প্যাকেজিং শিল্পে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাটকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। এজন্য প্যাকেজিং শিল্পে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার প্রয়োজন আমরা সবই করব। একই সাথে সরকারি যেসব জুট মিলস আছে সেগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে পাট পণ্যের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই সামনে যেন আর কোনও কারখানা বন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, পাটের পণ্য যত বেশি ব্যবহার হবে তত বেশি দেশের পাট খাত সমৃদ্ধ হবে। এজন্য বেশি বেশি পাটের পণ্য ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সালে পাট খাতের উন্নয়নে মনোযোগী হয়। ২০১৬ সালে এসে পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন ২০১০ করা হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া, পাট আইন ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সরকার তথা এই সোনালী আঁশকে যতো গুরুত্ব দিয়েছে অন্য কোনও সরকার এতো গুরুত্ব দেয়নি।

পাট উৎপাদনে কৃষকদের সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মাটি পাট উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। পরিবেশ বান্ধব পাটজাত পণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে পাট শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে। এছাড়া কৃষকরা যেন তাদের ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করা হবে। ফলে, অর্থনৈতিকভাবেও আমরা এগিয়ে যাব।

বিজ্ঞাপন

আলোচনাসভায় বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামস উজ জোহা বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পাট শিল্পে উৎপাদিত পাট পণ্যের ৯০ শতাংশ নির্ধারিত মূল্যে সরকার কিনে নেয়। সেজন্য তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে কোনও ধরনের সমস্যা হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার সরাসরি কৃষক বা শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের নিকট থেকে পণ্য ক্রয় করে না। এজন্য আমাদেরকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়া, পণ্য তৈরির খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই শিল্প টিকে রাখা সম্ভব নয়।

আলোচনা সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসজে/জেএএম

গোলাম দস্তগীর গাজী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর