‘ভাই-ব্রাদারের’ কাছ থেকে মন্ত্রীদের দূরে থাকার পরামর্শ
১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:১০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নতুন মন্ত্রীদের ‘ভাই-ব্রাদারের’ কাছ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ এসেছে চট্টগ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে।
তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদকে পাশে রেখে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় যারা আছেন, আপনাদের আদেশ মানতে রাজি আছি। কিন্তু অনেকসময় দেখা যায়, মন্ত্রীদের ভাই-টাইও আদেশ দেন। ভাই-টাইয়ের আদেশও যদি শুনতে হয়, এটা আমাদের (নেতা) জন্য অনেক পীড়াদায়ক।’
প্রবীণ এই নেতা আরও বলেন, ‘নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। মন্ত্রিসভার চেহারা খুবই সুন্দর। আশা করি, মন্ত্রীরা ভাই-ব্রাদার, আত্মীয়স্বজনকে দূরে রাখবেন। তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে আস্থা ও বিশ্বাস, সেটা পূরণ হবে।’
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) প্রথম জন্মস্থান চট্টগ্রামে এসে দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় মোছলেম উদ্দিন চট্টগ্রামের যে কোন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করার জন্য তথ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, সিডিএ চট্টগ্রামে অনেকগুলো ফ্লাইওভার করেছে। ফ্লাইওভারের অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু সেগুলো করার আগে আমরা যারা চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ আছি, আমাদের সঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান একবার কথাও বলেননি। আমাদের কোন মতামতই শুনতে চাননি।
কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাটে সেতু নির্মাণের তাগাদা দিয়ে মোছলেম উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কালুরঘাট সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ডিজাইনি হয়েছে। টাকাও পাওয়া গেছে। সাউথ কোরিয়া টাকা দেবে বলছে। একেনেকে প্রকল্পটা উঠে আবার নেমে গেছে। কেন জানি, প্রকল্পটা ঝুলে গেছে।
কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শুরুর জন্য তথ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন মোছলেম উদ্দিন।
সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সব কাজ করব। আমি দলের লোক। আমার প্রথম পরিচয় হচ্ছে আমি দলের প্রচার সম্পাদক। দ্বিতীয় পরিচয় হচ্ছে আমি সরকারের মন্ত্রী। সরকারের নেতৃত্বে দল নয়, দলের নেতৃত্বে সরকার। সেটি মাথায় রেখে কাজ করব সবাইকে সাথে নিয়ে।’
কালুরঘাট সেতুর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্প একনেকে গিয়েছিল। সেটির নকশায় কিছু ত্রুটি ছিল বিধায় একনেক থেকে ফেরত গেছে। সেই ত্রুটি নিরসন করে কয়েকমাসের মধ্যে যাতে প্রকল্পটি পাশ হয়, সেজন্য আমি কাজ করব।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামমহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
সারাবাংলা/আরডি/জেডএফ