মহিউদ্দিন সোহেল হত্যায় মামলায় যুবদল নেতা গ্রেফতার
১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৩১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলায় এবার নগরীর সরাইপাড়া ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক ও পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ী শওকত খান রাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে নগরীর সরাইপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম সারাবাংলাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজু খান মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। যেখানে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেই পাহাড়তলী বাজারে তাদের পারিবারিক একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। রাজু খান নিজেও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।’
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে, পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল কোনো ছিঁচকে, চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। জন্মস্থান পাহাড়তলীকে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত’ করার কাজে হাত দিয়ে তিনি কাউন্সিলর সাবের সওদাগর ও ওসমান খানের রোষানলে পড়েছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের পর ৮ জানুয়ারি রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমদ সওদাগর ও সদস্য ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও প্রায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ এ পর্যন্ত ওসমান খান, সোহেলের বন্ধু রিদোয়ান ফারুক রাজীব, যুবদল নেতা শওকত খান রাজুসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত মহিউদ্দিন সোহেল চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিরও নেতা ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমএনএইচ