Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মহিউদ্দিন সোহেলের লুট হওয়া ল্যাপটপসহ দোকানি গ্রেফতার


২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে গণপিটুনির নামে খুন হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন সোহেলের লুট হওয়া ল্যাপটপসহ এক দোকানদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে খাজা খয়েরউদ্দীন ছোটন নামে ওই দোকানদারকে গ্রেফতারের পর সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে সারাবাংলাকে জানান স্থানীয় ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল নগরীর পাহাড়তলী বাজারে খাজা খয়েরউদ্দীন ছোটনের একটি দোকান আছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

তবে পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল কোনো ছিঁচকে চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। জন্মস্থান পাহাড়তলীকে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত’ করার কাজে হাত দিয়ে তিনি কাউন্সিলর সাবের সওদাগর ও ওসমান খানের রোষানলে পড়েছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর ৮ জানুয়ারি রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমদ সওদাগর ও সদস্য ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সূত্রমতে, মহিউদ্দিন সোহেলকে হত্যার পর মামলা দায়েরের আগে মোবারক নামে পাহাড়তলী বাজারের এক যুবককে একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সোহেল হত্যা মামলার এজাহারে মোবারকের নাম উল্লেখ করা হয়। তখন চুরির মামলায় কারাগারে থাকা মোবারককে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে মোবারক জানায়, সোহেলকে তার অফিসকক্ষে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে খুন করে যখন লাশ টেনেহিঁচড়ে বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ওই কক্ষ থেকে তার ল্যাপটপটি নিয়ে যায় মোবারক। এসময় অফিসকক্ষে লুটপাটও হয়। পরে ল্যাপটপটি বাজারের দোকানদার ছোটনের কাছে জমা রাখে মোবারক।

এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ছোটনকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে ল্যাপটপটি উদ্ধার করে। একই মামলায় মোবারক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সোহেল হত্যা মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ওসমান খান, সোহেলের বন্ধু রিদোয়ান ফারুক রাজীব, যুবদল নেতা শওকত খান রাজুসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে।

নিহত মহিউদ্দিন সোহেল চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিরও নেতা ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এইচএ/এসএন

চট্টগ্রাম মো. মহিউদ্দিন সোহেল ল্যাপটপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর