Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চার লেনে উন্নীত হচ্ছে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা মহাসড়ক


২০ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:২৭

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা পর্যন্ত মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ‘যাত্রাবাড়ী (মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার)-ডেমরা (সুলতানা কামাল সেতু) মহাসড়ক’ ৪ লেনে উন্নীতকরণ নামের একটি প্রকল্পটি হাতে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

আগামী মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এটি উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেক ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

এটি বাস্তবায়িত হলে ৪ লেনে উন্নীতকরণের মাধ্যমে যানজট কমিয়ে যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচল, সড়ক ব্যবহারকারীদের অর্থনৈতিক ব্যয় লাঘব করে নিরাপদ এবং পৃথক সার্ভিস লেনের মাধ্যমে ইঞ্জিনযুক্ত ও ইঞ্জিনবিহীন যানের সুষ্ঠু চলাচল সম্ভব হবার পাশাপাশি দুর্ঘটনা প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ৩৬৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-শিমরাইল-নারায়ণগঞ্জ সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যা দু’টি প্রধান জাতীয় মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কে সংযুক্ত করেছে। প্রস্তাবিত সড়কটি এরইমধ্যেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মূল অংশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাচঁপুর সেতু ও পোল্ডার সড়ক নির্মাণের ফলে এই সড়কাংশ হতে নতুন সড়কে যান চলাচল বেড়ে যায়।

যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর অংশটি বর্তমানে ৮ লেন বিশিষ্ট মহাসড়ক যেখানে দেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল যান এসে মিলিত হয়। ফলে এই এলাকায় নিয়মিত যানজটের সৃষ্টি হয়। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলের কারণে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়কাংশে যান চলাচলের অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু সংখ্যক বাণিজ্যিক শিল্প প্রতিষ্ঠান আশেপাশে গড়ে উঠায় যান চলাচল বেড়েছে। কাচঁপুর সেতুর যানজট এড়ানোর জন্য সিলেট থেকে আসা যানবাহন তারাবো-যাত্রাবাড়ী সড়ক ব্যবহার করে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ঢাকা-ডেমরা-শিমাইল সড়কের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার এবং বিদ্যমান প্রস্থ ৭.৩ মিটার। তাই প্রকল্পের আওতায় এই সড়কটি ১৫.৬০ মিটার প্রস্থে ৪ লেন সড়ক হিসাবে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ধীরগতির যান চলাচলের জন্য প্রস্তাবিত মূল ৪ লেন সড়কের উভয় পাশে ২ লেন বিশিষ্ট পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে।

সড়কটি উন্নয়ন করা হলে স্থানীয় যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকবে এবং দুঘর্টনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়াসহ যানজটের তীব্রতা অনেকাংশে কমে যাবে। এজন্য যাত্রাবাড়ী থেকে সুলতানা কামাল সেতু পর্যন্ত মহাসড়কটি পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৪ লেনে উন্নীত করার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ হতে ৩৩৭ কোটি ৮৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৮ সালের মে মাস হতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রর্কপটি বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। পুনর্গঠিত ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৬৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৩ ঘন মিটার মাটির কাজ, ৫.৪০ কিলোমিটার ৪ লেন মূল ক্যারেজওয়ে নির্মাণ, ৬.৬৪৫ কিলোমিটার সার্ভিস লেন নির্মাণ, ৮টি আন্ডারপাস নির্মাণ, ২৫.৭৪ মিটার পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, ১১.৬০ কিলোমিটার ড্রেনসহ ফুটপাত নির্মাণ, ৫.৪০ কিলোমিটার নিউ জার্সি প্রতিবন্ধক নির্মাণ এবং রোড মার্কিং ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করা হবে।

প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সুবীর কিশোর চৌধুরী একনেকের জন্য তৈরি করা প্রকল্পের সার-সংক্ষেপে বলেছেন, ‘প্রকল্পটির আওতায় যাত্রাবাড়ী থেকে সুলতানা কামাল সেতু পর্যন্ত ৫.৪০ কিলোমিটার সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণসহ সড়কটির উভয় পাশে ৮.৪৪৫ কিলোমিটার পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হলে নিরাপদ ও উন্নত সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর