নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার চার্জ শুনানি ৪ ফেব্রুয়ারি
২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:২৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানির জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত। সোমবার (২১ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী, ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ ও এ কে এম মোশাররফ হোসেন কাজলের অংশিক চার্জ শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন করে এ দিন ঠিক করেন।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খালেদা জিয়াকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অস্থায়ী আদালত আনা হয়। এরপরে সাড়ে ১২টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১টা ৫৫ মিনিটে শেষ হয়। এদিন আদালতে খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকলেও পুরো সময় নিশ্চুপ ছিলেন তিনি।
চলতি মাসের ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
নাইকো দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।
এই মামলায় তিনজন পলাতক। এরা- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এছাড়া ২০১৮ বছরের ৫ মে এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি সাবেক সচিব শফিউর রহমান মারা যাওয়ার ফলে বর্তমানে আসামি সংখ্যা ১০।
২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গতবছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।
সারাবাংলা/এআই/এমও