১০ হাসপাতালে দুদকের অভিযান, ৯২ চিকিৎসক অনুপস্থিত
২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:৫১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকাসহ দেশের ৮ জেলার ১০টি হাসপাতালে ২৩০ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৯২ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে এই অনুপস্থিতির হার প্রায় ৬২ শতাংশ।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) সারাদেশে মোট ৮টি জেলায় ১০টি হাসপাতালে দুদক’র আলাদা এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। অভিযানে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির চিত্র উঠে আসে।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযানে দেখা যায়, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা হয়রানির শিকার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্র জানায়, হটলাইনে অভিযোগ আসার পরে ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া ও পাবনায় অভিযান চালানো হয়। হাসপাতালগুলো হলো, ঢাকার ফুলবাড়িয়া এলাকার কর্মচারী কল্যাণ হাসপাতাল, নাজিরা বাজারের মা ও শিশু সদন। এছাড়া রংপুরের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিনাজপুর সদর হাসপাতাল, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ময়মনসিংহের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনার সদর জেনারেল হাসপাতাল ও আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
অভিযানে দেখা যায়, বেছে নেওয়া ১০টি হাসপাতালে ২৩০ জন চিকিৎসকের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এর মধ্যে ৯২ জন অনুপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ ৪০ শতাংশ চিকিৎসক অনুপস্থিত। ঢাকার বাইরের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে মোট ১৩১ জন উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন ৮১ জন।
অন্যদিকে, রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে অভিযানকালে জরুরি বিভাগের স্ট্রেচার বেয়ারার আবু মুছা ভূঞা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করে দুদক দল। তাদের সুপারিশে হাসপাতালের পরিচালক আমিন আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মুছাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়ক দুদক’র মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এই অবক্ষয় অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবসেবার চেতনা না থাকলে চিকিৎসা সেবা পরিত্যাগ করা উচিৎ। তবে দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে দুদক কঠোর অবস্থান নেবে। সারাদেশের স্বাস্থ্যখাত দুদক’র নজরদারিতে থাকবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এটি/জেডএফ