সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ হত্যা: স্বামীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:৩৭
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ সুমী রানীকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ চারজনের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফজলে খোদা নাজির এ রায় দেন। একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশও দিয়েছে বিচারক। সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কায়সার আহম্মেদ লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন, গৃহবধূর স্বামী সুবীর কুমার রায়, ডা. সুশীল কুমার রায়, সুনীল কুমার রায় ও মনোরঞ্জন রায়। এ মামলায় আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইল জেলা শহরের গোপীনাথ বিশ্বাসের মেয়ে সুমী রায়ের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মুজিব সড়কস্থ শীলা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী সুবীর কুমার রায়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় সুমী রানীকে নির্যাতন করে আসছিলেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় জানিয়ে এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়। পরে মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার হওয়ার পর থেকেই ওই চার আসামি পলাতক রয়েছে। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বিচারক চারজনের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ার পারভেজ লিমন ও আসামিপক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এসএম জাহাঙ্গীর আলম মামলা পরিচালনা করেন।
সারাবাংলা/এমএইচ