ইজতেমা নিয়ে কোর্ট পর্যন্ত আসা লজ্জাজনক: আদালত
২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:৪৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষের পর বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ানোর বিষয়টিকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে সহযোগিতা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিকালে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।
আরও পড়ুন- অনিশ্চিত বিশ্ব ইজতেমা
রিটের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুস মোল্লা ও অ্যাডভোকেট শাহ মো. নুরুল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
দুপুরে এই মামলার শুনানি শুরু হলে আদালত রিটকারী আইনজীবীর কাছে জানতে চান, এখন তাবলিগ জামাতের কাজ-কর্মে কোনো বাধা আছে কি না? শাহ মো. নুরুল আমিন আদালতকে জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ধর্মমন্ত্রণালয় থেকে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছে- তাতে বাধা আছে।
আরও পড়ুন- দেওবন্দে ৪ পক্ষের বৈঠকে আসবে ইজতেমার সিদ্ধান্ত
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর মতামত জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতকে বলেন, তাবলিগের মধ্যে দুইটা গ্রুপ আছে। একটা গ্রুপ আলোচনায় আসতে রাজি হলেও অন্য গ্রুপ আসছে না। আগামীকালও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সময় ইউনুস মোল্লা বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বরের পরিপত্র অনুযায়ী, আলাদা আলাদা কাজ-কর্ম হলে সমস্যা নেই। তাতে শৃংখলাও থাকবে।
আরও পড়ুন- টঙ্গীতে মুসল্লিদের দুপক্ষের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত অর্ধ শতাধিক
তিনি বলেন, মাওলানা সাদ তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা উচিৎ নয়। মিলাদ বা ওয়াজ মাহফিলের মতো কর্মকাণ্ডও এর মধ্যে পড়ে। এই বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে একটা গ্রুপ মাদরাসা ছাত্রদের উত্তেজিত করেছে।
রিটকারী আইনজীবী বলেন, তাবলিগ জামাতের কোনো কমিটি নেই। ১১ জন সূরা সদস্য নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ৬ জন একদিকে আর ৫ জন আরেকদিকে।
আদালত বলেন, আলোচনা করে সমাধান করা গেলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি