।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের জনশক্তি ও পানিসম্পদকে বৈশ্বিক অঙ্গনে কাজে লাগাতে হবে, যেন ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারি।’
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের সাংগঠনিক সম্পাদক টি এইচ এম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান। এ ছাড়া পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও অভিনেতা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকার বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছে। তাই এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এই প্রত্যাশা পূরণে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আমি আগামী দিনগুলোর কাজকর্মে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও বন্ধন বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান এই দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা একশ ৪০ কোটি। এসব দেশের অর্থনীতির আকার ১১ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান। তাই আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে হবে। বাণিজ্য ছাড়াও জ্বালানি, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশে প্রচুর চৌকস জনশক্তি রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জনশক্তি খুব বেশি শিক্ষিত না হলেও তারা চৌকস। একবার একটি বিষয় বুঝিয়ে দিতে পারলে দ্বিতীয়বার আর বলতে হয় না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের এই বিশাল জনশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।’
মূল প্রবন্ধে সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের কলকাতায় সবার আগে দক্ষিণ এশিয়া বা এই উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার কথা ভেবেছিলেন। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা না গেলে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য দূরত্ব কমাতে হবে। চীন ও ভারতের বাজারে ঢোকার কৌশল নিতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে অবকাঠামো, অশুল্ক বাধাসহ যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা দূর করতে না পারলে উন্নয়ন করা যাবে না।’
সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর