কলেজ ভবনে নিম্নমানের সামগ্রী, কাজ বন্ধ করল শিক্ষার্থীরা
২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:০৮
।। রানা আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
সিরাজগঞ্জ: চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে চলমান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের সরকারি হাজী কোরপ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ ভবন নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বাস্তবায়নে ও শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল, প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কলেজটির চারতলা ভিতের একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ভবন নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুর্লভ কনস্ট্রাকশন। নির্মাণ কাজ শুরু করার পর থেকেই নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট ও খোয়া ব্যবহার করায় কলেজ কর্তৃপক্ষ কাজটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও অধ্যক্ষের সমঝোতায় পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। তবে আবারও নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট ও খোয়া ব্যবহার করায় ক্ষিপ্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা গত সপ্তাহে আবার কলেজটির নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক বিজয় ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মুন্না অভিযোগ করে জানান, চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট ও খোয়া ব্যবহার করছে। প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষ কাজটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবারও কাজ চালিয়ে যায় তারা। এখন আমরা অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা নিম্নমানের কাজ বন্ধসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
সরকারি হাজী কোরপ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোকতেল হোসেন জানান, চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ উদ্বোধনের কিছুদিন পর নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করার অভিযোগে কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করে। নির্বাচনের আগে ব্যস্ত থাকায় আমরা কাজের কোন খোঁজ-খবর নিতে পারেনি। তবে একই অবস্থা চলতে থাকায় কলেজের শিক্ষার্থীরা নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মনোয়ারুল ইসলাম প্রাথমিকভাবে এসব অভিযোগের ঘটনা অস্বীকার করলেও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর সিরাজগঞ্জ-বগুড়া জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন জানান, যথাযথ নিয়মের মধ্যেই নির্মাণ কাজ হচ্ছে। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগে কাজটি বন্ধ করে দেয়ার কথা শুনেছি। স্থানীয় দলীয় নেতাদের কারণে মাঝে মধ্যেই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অনিয়মের মধ্যে নির্মাণ কাজ হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এনএইচ