Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডেমরায় দুই শিশু হত্যা: ধর্ষণের আলামত মিলেছে


২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:১১

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: রাজধানীর ডেমরায় চার বছর বয়সী দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় ফারিয়া আক্তারকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে ময়নাতদন্তে। আরেক শিশু নুশরাত জাহানকেও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। গত শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে পুলিশকে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশও এ মামলার চার্জশিট দিয়েছে বলে জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- দোলা ডাক্তার হতে চেয়েছিল, ডিপিএস করেছিলেন পোশাককর্মী মা

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এস এম নওশাদ হোসেন সারাবাংলাকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিকিৎসক বলেন, ‘ময়নাতদন্তে দোলাকে ধর্ষণের আলাম মিলেছে এবং নুশরাতের ধর্ষণের চেষ্টার আলামত মিলেছে। এখন আসামিদের ডিএনএ টেস্টের পর জানা যাবে কে ধর্ষণ করেছে আর কে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।’ পুলিশের কাছে গত শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ডেমরায় দুই শিশু হত্যা: দোষ স্বীকার করে ২ আসামির জবানবন্দি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেমরা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নুশরাত ও দোলার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালতে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার দিন প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশ কেন ধর্ষণের আলামত পায়নি— জানতে চাইলে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অনেক সময় আলামত মেলে, অনেক সময় মেলে না। তবে পুলিশ চূড়ান্তভাবে আলামত পাওয়ার জন্য ময়নাতদন্তের ওপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রেও অনেক সময় আলামত মেলে না।’ দোলা ও নুশরাতের ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার আলামত মিলেছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: লিপস্টিক দেওয়ার কথা বলে…

গত ৭ জানুয়ারি ডেমরার একটি বাসায় খাটের নিচ থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল বাওয়ানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৯ জানুয়ারি ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেওয়ার কথা বলে শিশু নুশরাত ও দোলাকে নিজেদের ঘরে ডেকে নেয় প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা ও তার ভাই আজিজুল বাওয়ানি। তারা দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে দোলাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর নুশরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তাদের মৃতদেহ রাখা হয় ঘরটির খাটের নিচে।

আরও পড়ুন- দুপুরে নিখোঁজ, সন্ধ্যায় ২ শিশুর লাশ উদ্ধার

উপকমিশনার বলেন, ৭ জানুয়ারি দুপুরে দুই শিশুর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়। শিশু দু’টিকে হত্যার পর তখন তাদের মৃতদেহ ছিল মোস্তফাদের বাসার খাটের নিচে। মোস্তফার স্ত্রী সন্ধ্যার দিকে গার্মেন্ট থেকে বাসায় ফিরলে স্বামীকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখেন। এসময় মেঝেতে শিশুদের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এ নিয়ে দু’জনের বাদানুবাদ হলে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পারে এবং পুলিশকে খবর দেয়। এলাকাবাসীর সহায়তায় সন্ধ্যায় শিশু দু’টির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে মোস্তফা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। আর আজিজুল পালিয়ে যায় আগেই।

উপকমিশনার ফরিদ উদ্দিন জানান, মোস্তফা সিরামিকের কারখানায় ও আজিজুল একটি বেকারিতে কাজ করে। তারা মামাত-ফুপাত ভাই।

এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি রাতে ডেমরা থানায় নুশরাতের বাবা পলাশ ও দোলার বাবা ফরিদুল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই মোস্তফা ও আজিজুলকে তাদের ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

ডেমরায় দুই শিশু হত্যা শিশু নুশরাত ও দোলা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর