‘আওয়ামী লীগ ভেঙে চুপসে গেছে’
২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৫০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ভেতর থেকে ভেঙে চুপসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বিএনপি ভেঙে যাচ্ছে’— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে রুহুল কবীর রিজভী বলেন , ‘আওয়ামী লীগ তো ভেতর থেকে ভেঙ্গে চুপসে গেছে। সেখানে নানা পন্থী এবং সিনিয়র-জুনিয়রের নানা ধারা। যে কারণে তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারেনি সরকার। ফলে পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে রাতের আঁধারে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশি ক্ষমতা যখন থাকবে না তখন তো আওয়ামী লীগের বাতি জ্বালানোর লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিএনপির মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারেনি বলেই ওবায়দুল সাহেবের বুকে বড় জ্বালা। এজন্য তিনি বিএনপির ছিদ্র খুঁজতে আর্তচিৎকার করছেন।’
‘ওবায়দুল কাদেরকে মনে রাখার জন্য বলব, ‘শকুনির দোয়ায় গরু মরে না’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে ভোটের জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন— এটা জনগণের সঙ্গে হাসি-তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। প্রধানমন্ত্রী তার তামাশার ভাষণে জনগণের সাথে ঠাট্টা করেছেন। জনগণ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে তারেক রহমানকে সড়ে দাঁড়ানো উচিত’— জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এ বক্তব্যকে দু:খজনক বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে শুক্রবার তার স্বজনরা দেখা করতে গিয়েছিলেন জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার বাস করার জায়গাটির কোনো পরিবর্তন হয়নি। অস্বাস্থ্যকর, স্যাঁতসেতে ও ধূলাবালিতে আকীর্ণ কক্ষে তাকে বাস করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বারবার এ বিষয়ে কারাকর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তারা ভ্রুক্ষেপহীন থেকেছে।’
অসুস্থতার কথা বিবেচনা না করে খালেদা জিয়াকে ঘনঘন আদালতে হাজির হতে বাধ্য করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আদালতে অপরিসর এবং বসার অনুপযোগী একটি পরিবেশে তাকে নিয়ে আসা হয়। বেগম জিয়া বার বার এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। এটাও ধারাবাহিক জুলুমের একটি অংশ।’
সারাবাংলা/এজেড/জেএএম