মুসা বিন শমসেরের মুদ্রা পাচার মামলার প্রতিবেদন ২৭ ফেব্রুয়ারি
২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৬
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: মুদ্রা পাচারের অভিযোগে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের দায়ের করা মামলায় প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি ) এই মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে গুলশান থানা কোনো প্রতিবেদন না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নতুন করে এ দিন ঠিক করেন।
এদিকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি ব্যবহারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের দুই মাস পর মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে ওই মামলা দায়ের করেন শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন।
গত বছরের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে ওই গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য।
শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। পাশাপাশি ফাঁকি দেওয়া অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর সোমবার মুদ্রা পাচারের মামলাটি হয়।
সারাবাংলা/এআই/এনএইচ