হলে ভোট কেন্দ্র অগণতান্ত্রিক : সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
৩০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৯
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলগুলোতে স্থাপনের বিষয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। তারা এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এই মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে আয়োজনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে। এসব বৈঠকে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন হলের বাইরে ভোট কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানায়। কিন্তু অধিকাংশের সে দাবি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে সর্বোচ্চ নির্বাহী সভা সিন্ডিকেটে হলের ভেতরে ভোট কেন্দ্র রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
সংবাদে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে ভয়ভীতি ও দখলদারিত্বের পরিবেশ পুরো মাত্রায় বিদ্যমান। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাদে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর অধিকাংশ নেতাকর্মীরা আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করতে পারছেন না, নিজেদের মত প্রকাশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সেখানে নেই। সাধারণ ছাত্রদের অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে গণরুম ও গেস্টরুমের মাধ্যমে চলে ছাত্রদের উপর নির্যাতন। এ অবস্থায় হলগুলোতে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসন ছাত্রলীগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে অভিযোগ করে সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘দুই-একটি সংগঠন এর বিরোধিতা করলেও ক্রিয়াশীল সমস্ত সংগঠন এই দাবিকে যথাযথ মনে করে। সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করল, প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে না।’ এ সময় ‘নির্বাচনের নামে নাটকের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রশাসন দখলদারিত্বের সহযোগী ভূমিকা পালন করছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘অবাধ, ভীতিহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে ডাকসু নির্বাচনের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা আরও সংহত হবে। দখলদারিত্ব প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা পাবে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হল ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলের পরিবর্তে নিকটস্থ একাডেমিক ভবনগুলোতে স্থাপন করা, ভীতিমুক্ত পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং প্রথম বর্ষ থেকেই মেধার ভিত্তিতে হলে বৈধ সিটের ব্যবস্থা করা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/কেকে/এসএমএন