সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:১৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দায়িত্বপালন করতে গিয়ে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে দুই গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা। তাদের মতে, এই ঘটনার মাধ্যমে গোটা সাংবাদিক সমাজকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আমরা সংবাদকর্মী’র ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি মুগদা জেনারেল হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আরটিভির সাংবাদিক সোহেল রানা ও ক্যামেরাপারসন নাজমুল হোসেন সায়মনের উপর হামলা করা হয়। ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের মতে, হাসপাতালের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য সংগ্রহের সময় তাদের ওপর হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আসিফ ও সায়মন হামলা চালায়।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিকার না পাওয়ার কারণে একের পর এক হামলা হচ্ছে।
পুলিশসহ সন্ত্রাসী কর্তৃক সাংবাদিক সমাজ বারবার নিগৃহীত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশান (ক্র্যাব) সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, মুগদা হাসপাতালে এর আগে ৫ দিন বিদ্যুৎ ছিল না, পানি ছিল না। এমন অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে একটা হাসপাতাল কিভাবে চলে!
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে গরিব রোগীরা চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানে যদি অনিয়ম হয় তাহলে মানুষের মৌলিক অধিকার কিভাবে বাস্তবায়ন হবে। হাসপাতালের অনিয়ম তুলে ধরা সাংবাদিকদের কাজ। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে কেন বাধা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই সাংবাদিক নেতা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি সাখাওত হোসেন বাদশা বলেন, সাংবাদিকদের যেভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে তাতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সুযোগ কোথায়।
তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতারা আজ সরকার ও রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু সাংবাদিক সমাজে কেউ লাঞ্ছিত হলে তার পক্ষ নিচ্ছে না। যে কারণে এমন হামলা হচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা কঠিন হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের কথা বলতে গেলে কেন বাধা দেয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। অনিয়ম না থাকলে কেন বাধা দিবে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মানববন্ধন থেকে জানানো হয় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এই ঘটনায় প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দবে। এরপরে কোন সমাধান না হলে আন্দোলনের ডাক দিবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য খান মামুন প্রমুখ।
সারাবাংলা/জেআইএল/এনএইচ