Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবিতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব


১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৬

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণের হাকিম চত্বরে ‘বাঙালির জয়, কবিতার জয়’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসব-২০১৯। ১৯৮৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবের এবার ৩৩তম  আসর।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০টায় শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এসময় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, পটুয়া কামরুল হাসানের সমাধিসৌধ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এবারের কবিতা আসরে সভাপতিত্ব করছেন পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ। উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রুবী রহমান। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয় মুক্ত আলোচনা পর্ব।

উদ্বোধনী বক্তব্যে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, প্রবল রাজনৈতিক সঙ্কটের মুহূর্তে জাতীয় কবিতা পরিষদ গোটা জাতির সামনে উপস্থিত হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে।

তিনি বলেন, পল্লীকবি থেকে বিশ্বকবি দেশ বন্দনার অমর দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন যা আমাদের এক অম্লান প্রেরণা। সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ , স্বৈরাচার-বিরোধী জাতীয় কবিতা পরিষদ স্বাভাবিকভাবেই বলতে চায়-বাঙালির জয়, কবিতার জয়।

কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘তেত্রিশ বছর কেটে গেল কেউ কথা রাখেনি’-আমরা কথা রেখেছি। বাংলা ভাষার কবিরা কথা রেখেছে, কবির কলম সত্য উচ্চারণের জন্য জেগে থাকে বলেই বাঙালির বীরত্ব-গাঁথা হাজার বছর ধরে কবিতায় বেঁচে আছে।

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, প্রতিবছর জাতীয় কবিতা উৎসব সমসাময়িক কালকে ধারণ করে কণ্ঠে তুলে নেয় তার মর্মবার্তা। এবারের উৎসবের মর্মবার্তা ‘বাঙালির জয়, কবিতার জয়’।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়কে বাঙালি ও কবিতার বিজয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন যেন, মুজিববিরোধী, মুক্তযুদ্ধবিরোধী অন্ধকারের শক্তি মাথা তুলতে না পারে। এখন আমাদের সেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার সময়।

সারাবাংলা/কেকে/এনএইচ

জাতীয় কবিতা উৎসব ঢাবি ক্যাম্পাস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর