Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রথম দিনেই জমজমাট বইমেলা


১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২২:৩৮

।। হাসনাত শাহীন, বইমেলা থেকে ।।

ঢাকা: উদ্বোধনী দিনেই জমে উঠেছে বইমেলা। দুপুর থেকেই মেলার গেটের কাছে জড়ো হয়েছিলেন বইপ্রেমীরা। উদ্বোধন আর মেলা পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বাংলা একাডেমি চত্বর ছাড়তেই জনতার ঢল নামে বইমেলা প্রাঙ্গণে। মেলাতে যেন এটাই মানায়। আর সেজন্যই দুপুর থেকেই অপেক্ষারত জনতার ঢেউ গিয়ে পড়ে বইমেলার দুই প্রান্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

বিজ্ঞাপন

মুহূর্তের মধ্যেই দু’প্রান্তেই ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য বইপ্রেমিক। প্রাণের মেলা-বইয়ের মেলা পরিণত হয় মানুষের মেলায়। আর, পাঠকের আনাগোনা মেলায় প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হলো নতুন প্রাণ।

বইপ্রেমীদের এমনই উচ্ছাস অবলোকন করতে করতে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে দেখা যায় স্টলে স্টলে ডিজাইনের বৈচিত্র্য। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো পরিবেশ। চলতে ফিরতে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন পাঠকরা। প্রতিটি স্টলের মাঝে রয়েছে চলাফেরার প্রশস্ত পথ। প্রকাশকরাও বলছেন, ‘এবারের মেলার বিন্যাস হয়েছে পাঠকবান্ধব। আর নয়নাভিরাম এমন পরিবেশে বইপ্রেমী দর্শনার্থীরাও ঘুরে বেড়িয়েছেন স্টল থেকে স্টলে।’

প্রকাশনা সংস্থা ‘অন্য প্রকাশ’ এর প্যাভিলিয়নের সামনে দেখা হলো প্রকাশনা সংস্থার সত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে। তার কাছে যেতেই তিনি প্রথম দিনের মেলা নিয়ে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বললেন, ‘এই যে এত আয়োজন, নতুন প্রকাশনা, এত অনুষ্ঠান আয়োজন, উদ্বোধনের এত ঘটা-এসব কিছুই তো পাঠককে উদ্দেশ্য করেই। সেই পাঠকের আগ্রহ নিয়ে মেলায় ছুটে আসা ভরিয়ে দেয় প্রাণ।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘এবারের মেলা বেশ খোলামেলা হওয়ায় পাঠকরা বই দেখে কিনতে পারবে। এবারের মেলা পাঠকের সুবিধার কথা বিবেচান করে সাজানো হয়েছে। ভিড়ের বিড়ম্বনা সহ্য করতে হবে না বলেই আশা করছি।’

বিজ্ঞাপন

একই সুরেই কথা বললেন প্রকাশনা সংস্থা ‘অনিন্দ্য’র সত্বাধিকারী আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এবারের মেলার পরিধি গতবারের থেকে বৃদ্ধি পাওয়ায় মেলা বেশে খোলামেলা পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্টল বিন্যাস ও মেলার সার্বিক সাজ-সজ্জায় এসেছে নতুনত্ব। আশা করছি, এবারের মেলা অনেক ভালো হবে।’

এদিকে, স্টল বিন্যাস সাজসজ্জায় নতুনত্ব থাকলেও শুক্রবার প্রাণের মেলার প্রথম দিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় ধূলো-বালির উৎপাত। মেলার প্রাঙ্গণের চারপাশে নতুন বইয়ের পছন্দের ঘ্রাণের মধ্যে অনেকেই বিরক্তি নিয়ে মাস্ক পরে ঘুরেছেন। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে বিরক্তির উদ্রেক করেছে নানা অসঙ্গতি।

এমন অসঙ্গতির মধ্যেই প্রথম দিনের মেলায় এসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনিন্দ্য প্রকাশনের প্যাভিলিয়নে বসে এম আর মাহবুবের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত ভাষাবীর ‘এম এ ওয়াদুদ স্মারকগ্রন্থ’ বইটিতে অটোগ্রাফ দিতে দেখা যায় তাকে।

প্রকাশনা সংস্থা অনন্যা’র প্যাভিলিয়নে বসে নিজের বইয়ের উপর ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। এবারের মেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেলা পুরোটা ঘুরে দেখা না হলেও, এক নজরে তাকালে মন ভরে যায়। চোখে পড়ার মতো বিন্যাস হয়েছে। খোলামেলা এ বিন্যাস পাঠককে মেলায় আসতে আগ্রহী করবে।’ তবে ধূলোর উপদ্রবটা মেলার পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে বলেও মনে করেন জনপ্রিয় এই লেখক।

এবারের মেলায় ইমদাদুল হক মিলনের বেশ কয়েকটি বই আসছে। সেগুলো হচ্ছে যার মধ্যে অনন্যা থেকে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘একাত্তর ও একজন মা’ এবং অন্যপ্রকাশ থেকে আসছে গল্পগ্রন্থ’ ‘ফেলে যাওয়া রুমালখানি’।

নিয়ম ভাঙলো বাংলা একাডেমি
যেসব প্রকাশক তাদের স্টল ৩০ জানুয়ারির মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ না করবে তাদের স্টল বন্ধ করে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলা একাডেমি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠানই সেই নিয়ম ভঙ্গ করলো। মেলার প্রথম দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত বাংলা একাডেমি নিজেরাই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্যাভিলিয়নটি চালু করতে পারেনি।

একাডেমির নিজস্ব প্যাভিলিয়ন ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে-মেলা শুরুর আগেই স্টল তৈরির বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও মেলার প্রথম দিনে-বাসিয়া প্রকাশনী, বই বাজার, ঘাসফুল, বিজয় ডিজিটাল, পিয়াল প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন্স, পরিবার পাবলিকেশন্স, তিউরি প্রকাশন, পলাশ প্রকাশনী, মাদার্স প্রকাশনীসহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা তাদের স্টল চালু করতে পারেনি।

প্রাণের মেলার জন্য এক বছরের প্রতীক্ষার অবসানের দিনে নতুন বইয়ের সুবাসিত ঘ্রানের দেখা মেলেনি বেশকিছু প্রকাশনা সংস্থার স্টলে। সেই সঙ্গে মেলার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকতে দেখা যায়, স্টলের নির্মাণ সামগ্রীর অবশিষ্ট অংশ। চলছে দোকানগুলোকে সাজিয়ে তোলার কাজ।

এর মধ্যে একুশে বাংলা প্রকাশন এখনও তাদের স্টল নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেনি। মেলার প্রথম দিনের সন্ধ্যায়ও নির্মাণ শ্রমিকদেরকে এই স্টলটিতে রংয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে সন্ধ্যা পৌনে সাতটাতেও ৪৭০-৪৭৫ ও ৪৮৫-৪৮৯ স্টলগুলোতে বিদ্যুতের সংযেগ ছিলোনা।

প্রকাশকরা বলছেন, ‘মেলা কেবল শুরু হলো। পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে সময় লাগবে। মেলার প্রথম দিন তাই এখনো চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে প্রস্তুতির চিহ্ন। কাঠ, বাঁশ প্রভৃতি। ছিল ধুলোর ধূসর ওড়াউড়ি। কিন্তু এ সব কিছু ছাপিয়ে পাঠকের বইয়ের প্রতি আগ্রহই বেশি দেখা গেল। স্টলে স্টলে গিয়ে পাঠকরা নেড়েচেড়ে দেখছেন বই। অনেকে খোঁজ করছেন তার প্রিয় লেখকটির বই এসেছে কি না।’

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, ‘৩৯৫টি প্রকাশনা সংস্থার মধ্যে হাতেগোণা কয়েকটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে শনিবারের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।’

মেলায় ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ
এবারের মেলায় প্রথমবারের সংযুক্ত হয়েছে ‘লেখক বলছি’ নামের মঞ্চ। এ মঞ্চে প্রথম দিনে কথা বলেন কবি আফরোজা সোমা ও লেখক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। তাদের সঙ্গে কথনপর্বের সঞ্চালনা করেন ফারহান ইশরাত ও খালিদ মারুফ।

মেলার প্রথমদিনের কিছু নতুন বই
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯এর প্রথম দিনের নতুন বইয়ের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ। তবে বিভিন্ন স্টল ঘুরে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় গতকাল তাম্রলিপি থেকে বেরিয়েছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘নিয়ান’ ও ‘রাজাকার ইজ্জত আলীর জীবনের একদিন’ এবং অধ্যয়ন থেকে ‘টুনুর আজ কাহিনী’। সব মিলিয়ে প্রথম দিনে পাঠকসমাদৃত এই লেখকের তিনটি বইয়ের সন্ধান মিলেছে।

মেলায় নতুন আসা অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে অবসর থেকে এ কে এম শাহনাওয়াজের ‘কিশোরদের বঙ্গবন্ধু’ প্রথমা থেকে হরিশংকর জলদাসের ‘সুখলতার ঘর নেই’ ও অন্বেষা থেকে পিয়াস মজিদের ‘কিছু হুমায়ূন’।

এর আগে, মেলার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮’ প্রাপ্তদের হাতে তুলে দিলেন পুরস্কারের আর্থিক সম্মানী দুই লাখ টাকার চেক, স্মারক এবং সম্মাননাপত্র। এবার পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- কবিতা’য় কবি কাজী রোজী, কথাসাহিত্যে মোহিত কামাল, প্রবন্ধ ও গবেষণা’য় সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা’য় আফসান চৌধুরী।

এর আগে, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা’র নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক সংগঠন সুরের ধারা’র শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং ঐতিহাসিক ভাষার গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি পরিবেশন করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মানিত বিদেশি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা ভাষার প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ (ভারত) এবং প্রখ্যাত লেখক-সাংবাদিক ও গবেষক মোহসেন আল-আরিশি (মিশর)। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। প্রকাশক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ।

সম্মানিত বিদেশি অতিথির বক্তব্যে বাংলা ভাষার প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। পনের বছর বয়সে এ দেশ ছেড়ে গেলেও বাকি বাহাত্তর বছর ধরে এ অনন্য দেশের স্মৃতিই বহন করে চলেছি।’

অপর সম্মানিত অতিথি মিশরের লেখক-সাংবাদিক ও গবেষক মোহসেন আল-আরিশি বলেন, ‘এ গ্রন্থমেলা উগ্রতা এবং অন্ধতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের লড়াইয়ের প্রতীক। যে লড়াইয়ের প্রতীক বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাও। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত নির্মাণে শেখ হাসিনা যেভাবে লড়াই করছেন, তার সে লড়াইয়ে সারাবিশ্বের গ্রন্থপ্রেমী সকল উদার মানুষের সমর্থন রয়েছে।’

বিশেষ অতিথি কে এম খালিদ বলেন, ‘এবারের একুশে গ্রন্থমেলা মননসমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক জাতিগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘একুশের গ্রন্থমেলা জাতির সৃজনশীল সত্তার পরিচয়বহ।’

স্বাগত ভাষণে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, “এবারের গ্রন্থমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘বিজয়’ : ১৯৫২-৭১ নবপর্যায়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভাষা আন্দোলনের সাত দশক পূর্তি অর্থাৎ জাতীয় জীবনের সমস্ত বিজয়ী মুহূর্তকে এবারের গ্রন্থমেলার মর্মমূলে প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছি আমরা।”

প্রকাশক প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘একুশের গ্রন্থমেলার পাশাপাশি দুই বছর অন্তর ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলা আয়োজন এখন সময়ের দাবি।”

সবশেষে সভাপতির ভাষণে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা এখন এক জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। মুদ্রিত বই নিয়ে মাসব্যাপী এই উৎসবের ব্যাপ্তি প্রমাণ করে প্রযুক্তির ব্যাপক বিকাশেও মুদ্রিত বইয়ের গুরুত্ব কিছুমাত্র হ্রাস পায়নি।”

দ্বিতীয় দিনে মেলার মূল মঞ্চের অনুষ্ঠান
আগামীকাল শনিবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় দিন। এদিনের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের রবীন্দ্রচত্বরে অবস্থিত মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘বিজয় : ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রাবন্ধিক-গবেষক আবুল মোমেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন লেখক-সাংবাদিক হারুন হাবীব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী এবং গবেষক মোফাকখারুল ইকবাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক। আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি ঘোষণা অনুসারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মেলার প্রবেশ পথ খুলবে বেলা ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর