কানায় কানায় পূর্ণ সমুদ্র সৈকত
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৬
হাবিবুর রহমান, কক্সবাজার থেকে ৷৷
পৃথিবীর দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে বেড়াতে আসেন অনেকে। আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও। তবে শুক্র ও শনিবার- এই দুই দিন অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি মানুষের ভিড় থাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এই দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে পরিবারের সদস্যরা বা বন্ধুদের দূরন্ত কোনো দল ছুটি কাটাতে ছুটে আসেন এখানে।
ঢাকায় সরকারি চাকরি করেন তৌসিফ আহমেদ। কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে। তিনি বললেন, ‘আমরা আসলে ঢাকাতে ইট পাথরের সাথে বসবাস করি। মনটা পাথরের মতো হয়ে যায়। তাই যখনই সুযোগ পাই ছুটে আসি এখানে। আমি তো অবশ্যই, আমার স্ত্রী সন্তানরা খুব খুশি।’
পারভিন সুলতানা এবং জুলফিকার আহমেদ দম্পতির সঙ্গে কথা হলো। দু’জনেই একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। বিয়েও হয়েছে মাস চারেক আগে। একটু সময় পেতেই ছুটি কাটাতে সমুদ্র সৈকতে চলে এসেছেন তারা। বললেন, ‘বিয়ের পর এই প্রথম আমরা কক্সবাজারে এলাম। খুবই ভাল লাগছে।’
হাজার লোকের সমাগম হওয়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে এখানে ব্যবসাটাও জমে ওঠে বেশ। এখাকার কয়েকজন দোকানি জানান, অন্যদিনের চেয়ে শুক্রবার এবং শনিবারে পর্যটকের সংখ্যা বেশি থাকে, তাই বেচা-বিক্রিও বেশি হয়।
পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকায় কক্সবাজারের অভিজাত হোটেলগুলোতেও থাকে বাড়তি চাপ। রয়েল প্যালেসের ম্যানেজার বলেন, ‘আমরা অন্যদিনের চেয়ে শুক্রবার এবং শনিবার বেশি পর্যটক পাই, এমনকী অনেককে ফিরিয়ে দিতে হয়।
সমুদ্রের পাড়ে পর্যটকদের কাছে ঝিনুকের মালা বিক্রি করছে আল-আমিন এবং সুমন। যেখানেই যাচ্ছে, দুজন একসঙ্গে। তাদেরও বিক্রির পরিমাণ বেশি।
সমুদ্রের পাড়ে মানুষের ঢল। কেউ পানিতে নেমে গোসল করছেন, অনেকে পানিতে বসেই আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ আবার ঘোড়ার পিঠে ঘুরে বেরাচ্ছেন। এমন নানা ছলে দেশে-বিদেশের মানুষ খুঁজে নিচ্ছেন তাদের ভালোলাগা।
সারাবাংলা/এইচআর/পিএ