চিকিৎসকের আত্মহত্যা: স্ত্রী মিতু ৩ দিনের রিমান্ডে
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:১৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তিনদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এই আদেশ দিয়েছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তিনদিন মঞ্জুর করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হাইকোর্টের আদেশ অনুসরণ করার অর্থাৎ নারী কনস্টেবল রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।’
সোমবার পূর্বনির্ধারিত জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় জামিন আবেদনের আর কার্যকারিতা নেই বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় নিজ বাসায় শিরায় বিষপ্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক আকাশ। এর আগে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ফেসবুকে অভিমানী স্ট্যাটাস দেন। একইদিন রাতে নগরীর নন্দনকানন এলাকা থেকে মিতুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
৩২ বছর বয়সী আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবেদনবিদ (অ্যানেসথেশিস্ট) বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। নগরীর চান্দগাঁও থানার চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়িতে তাদের পরিবারের বসবাস।
তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বাড়ি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ এলাকায়। চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে মিতুর বাবার বাসা।
এই ঘটনায় শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) আকাশের মা জোবেদা খানম বাদি হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরীসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মিতু’র বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা মোছাম্মৎ শামীমা শেলী ও বোন সানজিলা হক চৌধুরী, মিতু’র কথিত বন্ধু ডা.মাহবুবুল আলম এবং আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিক প্যাটেল।
সারাবাংলা/আরডি/এমও