সরকার-ব্যবসায়ীদের মধ্যে উইন উইন সিচ্যুয়েশন থাকবে: অর্থমন্ত্রী

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: প্রকৃত ব্যবসায়িদের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রাখার কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। তিনি বলেন, ‘এখন প্রকৃত ব্যবসায়িদের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উইন উইন সিচ্যুয়েশন থাকবে। আমাদের এখন অনেক চাহিদা বেড়ে গেছে। রাজস্ব দেয়ার মাধ্যমে সেই চাহিদা পূরণ করেন, তারপর যেভাবে চাইবেন সেভাবে সহযোগীতা দেয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য সংগঠন ও ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে প্রথম এ মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে ব্যবসায়িদের পক্ষ থেকে ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানো, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা এবং ডুয়িং বিজনেস এর পরিবেশ উন্নয়নের দাবী করা হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যা ন্যায্য ভাবেই তুলে ধরেছেন। আমাদের দায়িত্ব হলো সেগুলো সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন কিভাবে কাজ করতে হবে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেশি হওয়ায় স্প্রেড ও বেশি। তাছাড়া, ব্যবসায়ীরা বলেছেন করের রেট বেশি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কাউকে কষ্ট দেয়া নয়, ব্যবসায়িদের কষ্ট না দিয়ে কাজ করা হবে। তিনি বলেন, চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এজন্য রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। আমাদের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। তাই, আগে চাহিদা পূরণ করেন। তারপর যেভাবে চাইবেন সেভাবেই সহায়তার চেষ্টা করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। তা না হলে দিন দিন ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে।

বৈঠক শেষে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিকুল আলম মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হয়রানি মুক্ত বিনিয়োগ পরিবেশ আমরা চাই। সরকার চায় বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে ২ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্য পূরণ। এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে এক যোগে কাজ করতে চাই। আমরা আশ্বাসের উপর বিশ্বাস রাখতে চাই। সমস্যাগুলো সমাধানে করণীয় নির্ধারণ করবেন সংশ্লিষ্ট  প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ক্ষেত্রে ডাবল ট্যাক্স, দুই তিনবার ট্যাক্সও দিতে হয়। এক্ষেত্রে মন্ত্রী বলেছেন, ট্যাক্স কমিয়ে এনে করনেট বাড়িয়েও লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট শেখ কবির, এফসিএমএ প্রেসিডেন্ট মাহবুব উল আলম, বিএলএফসিএ এর প্রেসিডেন্ট খলিলুর রহমান, বিডার চেয়ারম্যান, স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং বিভিন্ন বণিজ্য সংগঠনের চেয়ারম্যানরা।

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম