Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভৈরব-ঢাকা ডাবল লাইন চালু, বেড়েছে রাজস্বের পরিমাণ


৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:১১

।। এম এ হালিম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

ভৈরব: ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশনে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। টুঙ্গি-ভৈরব বাজার রেলপথে ডাবল লাইন হওয়ার ফলে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার কারণেই বেড়েছে রাজস্বের পরিমাণ। অন্যদিকে, ভৈরবের উৎপাদিত মৎস্য ও পাদুকা (জুতা) চট্টগ্রাম, নোয়াখালি, ফেনি, চৌমোহনি, দেওয়ানগঞ্জ ও সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পরিবহন করায় ভৈরব রেলওয়ে জংশনের পার্সেল খাত রাজস্ব বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বিজ্ঞাপন

ভৈরব লেওয়ে জংশন সূত্রে জানা গেছে, ডাবল লাইনের পর ভৈরব রেলওয়ে জংশন থেকে যাত্রী ও পার্সেলের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম মাসের রাজস্বের পরিমাণ এক কোটি ছয়লাখ আশি হাজার পাঁচশ তিপ্পান্ন টাকা। ডাবল লাইন উদ্বোধনের আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল সাত কোটি দশলক্ষ তিনহাজার একশত ঊনসত্তর টাকা। ২০১৬ সালে মার্চ মাসে ডাবল লাইন উদ্বোধনের পর ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মোট আয়ের পরিমাণ ছিল নয় কোটি তেত্রিশ লাখ একান্ন হাজার সাতশ চুরাশি টাকা। যা বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় এগারো কোটি চুয়াল্লিশ লাখ পঁচানব্বই হাজার পাঁচশ ছাব্বিশ টাকা।

গত বছরের জানুয়ারী মাসে যাত্রী ও পার্সেল খাত থেকে এসেছে বিরানব্বই লাখ বাষট্টি হাজার চুয়াল্লিশ টাকা। ফেব্রুয়ারী মাসে এসেছে পঁচানব্বই লাখ ঊনপঞ্চাশ হাজার দুইশ ছত্রিশ টাকা। মার্চ মাসের পরিমাণ এক কোটি নয়লাখ একাশি হাজার নয়শ ত্রিশ টাকা। এপ্রিল মাসে নিরানব্বই লাখ সাতাশ হাজার নয়শত বিরাশি টাকা। মে মাসের পরিমাণ তিরানব্বই লাখ একচল্লিশ হাজার আটশ ছিয়াশি টাকা। জুন মাসের পরিমাণ বিরানব্বই লাখ সাতাশ হাজার চারশ একান্ন টাকা। জুলাই মাসের পরিমাণ এক কোটি চারলাখ তিরানব্বই হাজার সাতশ ছয় টাকা। আগষ্ট মাসের পরিমাণ এক কোটি তিন লাখ চৌষট্টি হাজার ছয়শ তিরাশি টাকা। সেপ্টেম্বর মাসের পরিমাণ নিরানব্বই লাখ সাইত্রিশ হাজার আটশ সাতষট্টি টাকা। অক্টোবর মাসের পরিমাণ এক কোটি সাতলাখ একষট্টি হাজার পাচঁশ একষট্টি টাকা। নভেম্বর মাসের পরিমাণ আটানব্বই লাখ আটহাজার একশ ঊনসত্তর টাকা ও ডিসেম্বর মাসের পরিমাণ নব্বইলাখ একাশি হাজার দুইশ ঊনচল্লিশ টাকা।

বিজ্ঞাপন

ভৈরব রেলওয়ে জংশনের নতুন স্টেশন মাষ্টার কামরুজ্জামান জানান, মানুষ এখন ট্রেনমুখী। ডাবল লাইন চালু হওয়ার পর ট্রেন যথারীতি সময়সূচী অনুযায়ী চলাচল করায় সাধারণ মানুষ ট্রেনমুখী হয়েছেন। আগে একটি ট্রেন আরেকটি ট্রেনকে ক্রসিং এর জন্য বিলম্ব ঘটতো। ডাবল লাইন হওয়ার পর এই বিড়ম্বনা নেই। তাই, দিনদিন ট্রেন ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ ফিরে আসছে। এর ফলে, ভৈরব রেলওয়ে জংশনের রাজস্ব আরো বাড়বে বলে আশাবাদ করেন তিনি।

সারাবাংলা/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

সম্পর্কিত খবর