দুর্নীতি টলারেট করা হবে না: গোলাম দস্তগীর গাজী
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:১৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: পাট সেক্টরে কোনো দুর্নীতি টলারেট করা হবে না বলে বিজেএমসি কর্মকর্তাদের সাফ জানিয়ে কড়া হুশিয়ারি করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বিজেএমসি ভবনে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন আয়োজিত বিজেএমসি এবং মিলমালিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘সুশাসন চাই, ভালো ব্যবস্থাপনা চাই। পাট শিল্প ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না। এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি টলারেট করা হবে না। দুর্নীতি থাকলে কোনো উন্নতি হবে না। এজন্য সুশাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে পাট শিল্প টিকে থাকবে। ২৬টা সরকারি মিলের ভেতরে কারা কারা লাভে আছে আর লোকসানে আছে সেটা বের করতে হবে। প্রাইভেট মিলগুলো লাভে থাকলে সরকারি পাট মিলগুলো কেনো লোকসানে আছে সেটা বের করতে হবে।’
বিজেএমসির চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, বিজেএমসিকে নিজের টাকায় নিজেদের চলতে হবে। বারবার সরকারের কাছে হাত পেতে চলা যাবে না। কতোদিন ধার করে চলবেন। কোথায় কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে খুঁজে বের করুন। কারা দুর্নীতিগ্রস্ত চিহ্নিত করুন। প্রয়োজনে শাস্তির আওতায় আনুন। একই সাথে সরকারি পাট মিলে শ্রমিকের সংখ্যা কতো, শ্রমিকরা ওভারটাইম পাচ্ছে কিনা সেটাও খুঁজে বের করুন। যেখানে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হচ্ছে সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠান লোকসান গুনবে, এটা মেনে নেওয়া হবে না।
গোলাম দস্তগীর আরও বলেন, পাট শিল্পের কদর এক সময় সারাবিশ্বে ছিলো। আগামীতে আমরাও সারাবিশ্বে পাটের জয়জয়কার দেখতে চাই। আমরা পাটের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার মধ্যেও পাটের জন্য দাবি ছিলো। সেই পাট আমরা ধ্বংস হতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী পাটকে ভালোবাসেন। পাট শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমায় দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই পাটের উন্নয়নে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাটকে ষড়যন্ত্র করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এরপর বর্তমান সরকার এই পাটকে আবার স্বর্ণযুগে নিতে কাজ করছে। এই পাট একদিন আবার রপ্তানিতে এক নাম্বারে থাকবে। স্বাধীনতার সময় ৭৭টি পাটকল ছিলো যা এখন ২৬টিতে এসেছে। আমাদের পাট সারাবিশ্বের চেয়ে ভালো পাট।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো.মিজানুর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছিম, বিজেএমসির সচিব একেএম তারেকসহ অনেকেই।
সারাবাংলা/এসজে/জেএএম