মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত ১ মাসে শেষ করার নির্দেশ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:১৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে তদারকির জন্য মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ দেশের সকল এসপিকে এ আদেশ বাস্তাবায়ন করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাংলাদেশি বংশোদ্ভুদ নরওয়ের নাগরিক ড. নুরুল ইসলাম শেখকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় এসব আদেশ দেন।
এ সময় আদালত ড. নুরুল ইসলাম শেখকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার কারণে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আব্দুল হালিমকে ওই থানা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য গাজীপুরের এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়াও ওই এসআইকে ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক করেছেন আদালত।
আদালতে নুরুল ইসলাম শেখের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুক আলমগীর চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন মো. আব্দুল কুদ্দুস বাদল। আর এসআই আব্দুল হালিমের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।
পরে মো. আব্দুল কুদ্দুস বাদল জানায়, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর এসআই মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দশ পিস ইয়াবাসহ রাজু আহমেদ নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে রাজু আহমেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নরওয়ে নাগরিক নুরুল ইসলাম সহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর নুরুল ইসলাম ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাইকোর্টে আবেদন জানান।
জামিন শুনানিকালে আদালত দেখতে পান, নুরুল ইসলাম একজন নরওয়ে নাগরিক এবং পিএইচডি ডিগ্রী ধারী। দশ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করায় আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশের এক সপ্তাহের মধ্যে নুরুল ইসলামকে অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে এ মামলার বাদি জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল হালিমকে তলব করেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে ওই এসআইকে সতর্ক করে দিয়ে আদালত রায় দেন।
এ সময় আদালত এধরনের ঘটনার জন্য পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যথাযথ তথ্য প্রমাণ ছাড়া মাদক মামলায় একজন আসামি কারোও নাম বললেই তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া যাবে না।
এ ঘটনাকে দু:খজনক উল্লেখ করে আদালত বলেছেন, এ ধরনের ঘটনায় দেশের জন্য কেউ কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। বরং যারা দেশের জন্য এমন সামাজিক কাজে যুক্ত তাদেরকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন।
সারাবাংলা/ এজেডকে/জেডএফ