Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে চাই: অর্থমন্ত্রী


১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:২১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

সংসদ ভবন থেকে: অতীতের ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার এ সংক্রান্ত ৭১বিধিতে আনিত নোটিশের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিয়েছি ক্লাসিফাইড ঋণের পরিমাণ আর বাড়বে না। ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি দীর্ঘকাল ধরে আমাদের এই সমাজে বহমান। আমরা সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমি আশ্বস্ত করতে পারি আমরা সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসব। আমাদের ঋণের পরিমাণ বাড়বে না।’

কার্যপ্রণালী বিধির ৭১বিধিতে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘সকারের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দেশের ব্যাংকসমূহ ঋণের সুদের হার এখনও এক অংকের ঘরে নেমে আসেনি।’

এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বক্তব্যটি পুরাপুরি সত্য না হলেও আংশিক সত্য। দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সুদের হার একক ডিজিটে অর্থাৎ শতকরা ৯ ভাগে নামিয়ে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরইমধ্যে ২১টি ব্যাংক একক ডিজিটে নামিয়ে এনেছে, বাকি ব্যাংকগুলোও শিগগিরই একক ডিজিটে নামিয়ে আনবে।’ একই সঙ্গে এই ক্লাসিফাইড ঋণের পরিমাণ আর বাড়বে না বলে ঘোষণার কথাও স্মরণ করে দেন মন্ত্রী।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যসব ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করা যাচ্ছে বাকি ব্যাংকগুলোও প্রদত্ত ঋণের সুদ হার অল্প সময়ের মধ্যে এক অংকের ঘরে নামিয়ে আনতে সক্ষম হবে। বিষয়টি নিয়ে আামি নিজেও এরই মাঝে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তা সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসমূহের মালিক এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছি। সংশ্লিষ্ট সবাই ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সবার কাছে উইন উইন ফ্যাক্টের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সমধান পাব।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যবসাবান্ধব একটি সরকার। ব্যবসায়ীরা যদি ব্যবসা না করতে পারে, আমাদের কর্মসংস্থান কোথা থেকে আসবে? দারিদ্র বিমোচন কিভাবে হবে? সেই কাজগুলো করার জন্য তাদের (ব্যাংক মালিকদের) সঙ্গে বার বার বসছি। আমি আশ্বস্ত করছি অতি শিগগিরিই এর ফলপ্রসু অবস্থা দেখতে পাবেন।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর