১০ বছর ধরে শুনছি বস্তি ভাঙবে তাই…
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা:ভাষানটেকের তিন নম্বর বস্তির বাসিন্দা ছালেহা বেগম ও ফারুক হোসেন দম্পতি । গত ১৫ বছর ধরে চার সন্তান নিয়ে এখানে তাদের বসবাস। এর মধ্যে অন্তত গত ১০ বছর থেকেই শুনে আসছেন বস্তি ভাঙবে সরকার। কিন্ত কোনোদিন এই বস্তি ভাঙা পড়েনি বলে জানান ফারুক-ছালেহা। ফারুক বলেন, এমনকি গতকাল রাতে যখন বস্তি ভাঙবে বলে গেলো তখনও বিশ্বাস করিনি। কিন্তু সকাল ৮ টার মধ্যেই পুলিশ ও সরকারের লোকজন এসে হাজির। শুরু হয়েছে বস্তি ভাঙা। এখন জানিনা মালছামানা আর পোলাপান নিয়ে কই যামু?
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে সারাবাংলার কাছে আক্ষেপের সুরে এসব বলছিলেন নদী ভাঙনের শিকার ভোলার ফারুক-ছালেহা দম্পতি।
মধ্যবয়সী ফারুক হোসেন বলেন, সামান্য কিছু কাপড়চোপড় ছাড়া আর কিছু বের করতে পারিনি। খাট, আলমারি, হাড়িপাতিল, মুরগি, কবুতরসহ নানান আসবাবপত্র সব বুলডোজার গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
এই বস্তির আরেক বাসিন্দা রোস্তম আলী বলেন, এ দেশে ভিনদেশী লোকের (রোহিঙ্গা) জায়গা হয়। তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয় আর আমরা থাকার জায়গা পাইনা।
ফারুক- রোস্তম আর ছালেহার মত দম্পতির মতো প্রায় দুহাজার পরিবার তাদের জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার কোথায় যাবেন ঠিক করতে না পেরে খোলা জায়গায় বসে আছেন।
আরও পড়ুন: একদিকে ভাঙছে আরেকদিকে চলছে বেড়া নির্মাণ
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বস্তি উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান বলেন, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নোটিশ দেওয়া হয়। গতকালও পুলিশ তাদের বলেছেন আজ বস্তি উচ্ছেদের কথা। গত ২০ বছর ধরে তারা অবৈধভাবে এই জায়গা দখল করে আছে।
সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ