চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণা, রাজবাড়ীতে কর্মকারকে জরিমানা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:০৯
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
রাজবাড়ী: দা-কুড়াল বানানো তার পেশা। তবে সেই পেশাকে আড়াল করে নিজেকে পরিচয় দিতেন চিকিৎসক হিসেবে। রোগী দেখে অ্যালোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধও বিক্রি করতেন। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক অভিযানে দীর্ঘ একযুগের এমনই এক প্রতারক চিহ্নিত হয়েছেন।
এই প্রতারক ভুয়া চিকিৎসকের নাম মধুসদন কর্মকার ওরফে পচা কর্মকার (৭৩)। তিনি রাজবাড়ী শহরের লক্ষীকোল এলাকার মৃত হরিপদ কর্মকারের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পচা কর্মকারকে শনাক্ত করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম তাকে প্রতারণার অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
র্যাব জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা শহরের লক্ষীকোল এলাকায় অভিযান চালায় তারা। সেখানে একটি দা-বটি তৈরির দোকান ঘর থেকে আটক করা হয় পচা কর্মকার। র্যাব জানায়, প্রায় এক যুগ ধরে তিনি ওই দোকানে দা-কাঁচি তৈরি করতেন। তবে পরিচয় গোপন করেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার ইফতেখারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, পচা কর্মকার চিকিৎসক নন। তিনি পেশায় একজন কর্মকার, দা-কাঁচিসহ লৌহজাতদ্রব্য বানান। প্রায় এক যুগ ধরে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে নিজেকে চিকিৎসক দাবি করে রোগী দেখে আসছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, পচা কর্মকার ওষুধ বিক্রি ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের অবৈধ কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। যে কারণে তাকে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর