পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাতের আসামি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১১:৩১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আসলাম হোসেন ইমন (৩০) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ইমনের বিরুদ্ধে ছিনতাই-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১টি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন বোস ব্রাদার্স মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে জানান, আসলামসহ সাত ছিনতাইকারী ছিনতাইয়ের উদ্দেশে বের হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের ধরার জন্য বোস ব্রাদার্স এলাকায় যায়। এসময় বন্দুকযুদ্ধ হয়। পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আসলামকে গ্রেফতার করা গেলেও বাকি ৬ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গুলিবিদ্ধ আসলামকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দুকযুদ্ধে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জাসিয়েছেন ওসি। এরা হলেন- কোতোয়ালী থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমিন ও রণেশ বড়ুয়া।
ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি ওসি’র।
গুলিবিদ্ধ আসলামের অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ে ওসি জানান, আসলাম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী এবং তাদের একটি বড় গ্রুপ আছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে বেড়ায়। একটি অটোরিকশায় থাকা ছিনতাইকারীরা ঘটনাস্থল রেকি করে। আরেকটি অটোরিকশায় থাকা ছিনতাইকারীরা পথচারী কিংবা টার্গেট করা ব্যক্তিকে জিম্মি করে ছিনতাই করে। রেকিতে থাকা ছিনতাইকারীরা মূলদলের ব্যাকআপ দল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ওসি আরও জানান, গত বছরের ৩ অক্টোবর ভোরে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় এনজিও কোডেকের কর্মকর্তা অসীম বড়ুয়া ছিনতাইয়ের শিকার হন।
২০ অক্টোবর ভোরে নগরীর জামালখান মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য বাবলা বিশ্বাস ছিনতাইয়ের শিকার হন। এসময় ছিনতাইকারীদের প্রতিরোধ করতে গেলে তারা বাবলাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে।
এই দুটি ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারী মাসুদ ওরফে কালা মাসুদকে সম্প্রতি পুলিশ গ্রেফতারের পর সে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত হয়। তবে গ্রেফতারের পর মাসুদ এই আসলামসহ পুরো চক্রের নাম প্রকাশ করেছিল বলে জানিয়েছেন ওসি।
সারাবাংলা/আরডি/জেএএম